কলকাতা, 26 অগস্ট: তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন আট থেকে আশি সকলেই। এরই মাঝে রাতে মেয়েদের কাজ না করার নিয়ম সামনে আনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ছে জনসমাজ থেকে তারকা শিল্পীরা ৷ এরই মাঝে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী হচ্ছেন ট্রলের শিকার ৷ অস্থির পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যোগ্য জবাব দিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ৷
ট্রল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ট্রোলিংটা একটা বিজনেস। 'ট্রোলার্স' নামে একটা কমিউনিটি আছে। যারা শুধু ট্রোলিংই করে। এই যে আমি মেক আপ না তুলেই সমাবেশে তাড়াতাড়ি চলে এসেছি দেরি না করে, এর জন্যও আমাকে ট্রোল করা হবে। তাঁরা জানেন যে মেকআপ তুলে আসতে গেলে দেরি হবে। তার থেকে এখানে পৌঁছনোটা আগে দরকার, তাই অভিনেত্রী মেকআপ তোলেননি। কিন্তু এই মেকআপ নিয়ে তাঁরা কিছু না কিছু বলবেন । তাই এদের কথায় পাত্তা দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এদের মুখ বন্ধ হবে না।"
রাতে মেয়েদের কাজ না করার বিষয়টিও বেশ ভাবাচ্ছে সকলকে। ভাবালেও সকলেই এককাট্টা। টলিকুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত স্বয়ং বলেছেন, "রাতে কি রাস্তায় হায়নার মতো হিংস্র পশুরা ঘুরে বেড়াবে যে মেয়েরা রাতে রাস্তায় বেরোবে না?"
এবার এই নিয়মের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদে সামিল দেবলীনা দত্ত। তিনি ইটিভি ভারতকে বলেন, "মেয়েদের রাতে কাজ করতে না বেরনোর এই নিয়মটা অত্যন্ত বোকা বোকা এবং হাস্যকর। হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছি না। আমার প্রফেশনে তো অর্থহীন। তা হলে আমার কোনও রাতে শুট থাকলে আমার হয়ে আমার চরিত্রটা কোনও পুরুষ এসে করে দেবে সেজেগুজে? "
তিনি আরও বলেন, "ধরুন আমার রাত দু'টোতে নাইট ওয়াক করতে ইচ্ছে হচ্ছে। হতেই পারে। সেই সময়েও আমি নিরাপত্তা চাই। উপদেশ চাইনি আপনাদের কাছে। আর এই নিরাপত্তা দেওয়ার একটাই পথ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যত দেরি হচ্ছে তত ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে। এবার পুরো ব্যাপারটা একটা ইয়ার্কিতে পরিণত হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তদের দেখতে চাই। আজ অবধি একজনকেও দেখতে পেলাম না। যাঁদেরকে আড়াল করা হয়েছে তাদের তো দেখতে চাই-ই যারা আড়াল করেছে তাঁদেরও দেখতে চাই। তাঁরাও সমান দোষে দোষী। অনেকে ভাবছে লড়াইটা থেমে যাবে, থিতিয়ে যাবে। লড়াইটা কিন্তু থামবে না। কাজ কাজের মতো চলবে। এটাও চলবে।"