কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি: প্রয়াত ষাট থেকে আশির দশকের অন্যতম নায়িকা অঞ্জনা ভৌমিক। 79 বছর বয়সি অভিনেত্রী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন । শুক্রবার গভীর রাতে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি ভর্তি হন দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার সকাল সাড়ে দশটা তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানা গিয়েছে।মাতৃহারা হলেন নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত-যীশু সেনগুপ্ত ৷ তাঁদের সঙ্গে ইটিভি ভারতের তরফে যোগাযোগ করা হলে উত্তর পাওয়া যায়নি ৷
হাসপাতাল সূত্রের খবর, আইসিইউতে ডঃ জয়দীপ ঘোষের তত্ত্বাবধানে ভর্তি ছিলেন তিনি। শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। বড় মেয়ে নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত এবং জামাই যিশু সেনগুপ্ত এই মুহূর্তে হাসপাতালেই রয়েছেন। অঞ্জনা ভৌমিকের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ টলিউড।
অনেকদিন ধরেই চলচ্চিত্র দুনিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক ৷ সেভাবে ঘন ঘন অভিনয় করতেও কোনওকালে দেখা যায়নি তাঁকে। অঞ্জনা ভৌমিকের দুই মেয়ে নীলাঞ্জনা এবং চন্দনা। যিশু সেনগুপ্তর স্ত্রী নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত এই মুহূর্তে সফল প্রযোজক। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল-সহ টলিপাড়ার প্রথম সারির ব্যক্তিত্বরা এই মুহূর্তে যিশু-নীলাঞ্জনার পাশে হাসপাতালেই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ষাট থেকে আশির দশকের বাংলা সিনেমায় অঞ্জনা ভৌমিকের অবদান অসামান্য। 'চৌরঙ্গী' 'থানা থেকে আসছি', 'নায়িকা সংবাদ'-এর মতো ছবিতে তিনি অভিনয় করে দর্শকের নজর কেড়েছেন। মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে তাঁর জুটিও ভালোবেসেছে দর্শক। অঞ্জনা ভৌমিক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় রয়েছে 'ভাগ্যলিপি' (1979), 'রৌদ্রছায়া' (1973), 'প্রথম বসন্ত' (1971), 'শুকসারি' (1969), 'কখনো মেঘ' (1968)-এর মতো ছবি ৷
অঞ্জনা ভৌমিক 1944 সালের 30 ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম হল আরতি ভৌমিক ৷ ডাক নাম বাবলি। তাঁর বাবার নাম বিভূতিভূষণ ভৌমিক। তিনি কোচবিহার স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং 1961 সালে কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরপরে তিনি সরোজিনী নাইডু কলেজে লেখা পড়া শুরু করেন ৷ পরবর্তী সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন ৷
আরও পড়ুন:
1. প্রয়াত 'উড়ান' খ্যাত অভিনেত্রী কবিতা, শোকের ছায়া বলিমহলে
2. প্রবীর...দ্য আদার ল্যান্ড, সহজিয়া থিয়েটারের কারিগরকে নিয়ে শঙ্খ ঘোষের তথ্যচিত্র প্রশংসিত নন্দনে
3. ফ্রেঞ্চ ফেস্টিভ্যালের কারণে নন্দনে জায়গা পেল না 'পারিয়া', আশাহত পরিচালক