হায়দরাবাদ, 9 সেপ্টেম্বর: একসময়ে গানে গানে বলেছিলেন 'হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে...' ৷ আজ তিনিই বলছেন, 'আমার বেজন্ম আর বেসুরের নামে আমি কবুল করছি যে আমি চটিচাটা।' সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমনের এমন পোস্ট দেখে আহত-ব্যথিত আর এক শিল্পী অনিন্দ্য বোস ৷ ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করে অনিন্দ্য শহর লিখলেন, "আপনার গান আর জীবনে কোনদিনও গাইব না ৷ কোথাও না! না, কোন রাগ বা ঘেন্না থেকে নয়, এক তীব্র অভিমান থেকে ৷"
17 অগস্ট সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন ফেসবুকে একটা পোস্ট করেন ৷ বিষয় হিসাবে লেখা, "ইদি আর্দি ইমারৎ খেসারৎ দলিল দস্তাবেজ, কবুলনামা ৷" এরপর তিনি লেখেন, "আমার বেজন্ম আর বেসুরের নামে আমি কবুল করছি যে আমি চটিচাটা।চটিচাটা ছিলাম আছি থাকব। চ টি চা টা চ টি চা টা চ টি চা টা ৷ আশা করি এই রাজ্যের বিপ্লবী বিদ্রোহীরা কেউ এই চটিচাটার কোনও গান গেয়ে বা গানের কোনও অংশ উদ্ধৃত করে নিজেদের কলুষিত করবেন না।"
এমন পোস্ট সামনে আসায় ব্যপক হইচই হয় ৷ সেই পোস্টকে কেন্দ্র করে শিল্পী, সুরকার তথা গীতিকার অনিন্দ্য বোস দীর্ঘবার্তা লেখেন সোশাল মিডিয়ায় ৷ জীবনের বেশ কিছু স্মৃতি, যেখানে জড়িয়ে রয়েছেন কবীর সুমন, সেই সব কিছু তুলে ধরেন ৷ তিনি লেখেন, "সুমন চট্টোপাধ্যায় বা কবীর সুমন অথবা সুমনদা-কে লেখা আমার একটি ব্যক্তিগত খোলা চিঠি..... সুমন দা, আমার এই দীর্ঘ চিঠির সঙ্গে আপনার 'কবুলনামা' নামের যে লেখাটি আমি পোস্ট করছি, আমি জানি না সেই লেখাটি আদৌ আপনার কি না ৷ সোশাল মিডিয়া এমনই এক প্ল্যাটফর্ম যেখানে সত্য, মিথ্যা, অর্ধসত্য সব রকমের লেখা, সংবাদ, ভিডিয়ো বা তথ্য মিলেমিশে একই সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়! যাই হোক,আবার বলছি এই লেখার সত্যতা যাচাই করার মত কোন উপায় আমার নেই ৷ তবে যদি এই লেখা আপনারই হয়ে থাকে তাহলে মাননীয় সুমনবাবু, কিছু কথা আপনাকে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে ৷"
এরপর অনিন্দ্য যে বার্তা দিয়েছেন তা অনেকটাই বড় ৷ সেখানে কীভাবে কবীর সুমনের গান তাঁকে মুগ্ধ করেছে, কীভাবে প্রথমবার তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে ৷ কীভাবে গানের জগতে ভালোবাসা, শাসন, আদর পেয়ে সম্পর্ক একটু একটু করে গভীর হয়েছে সেই সব কিছু স্মৃতির খনি থেকে বের করে আনেন অনিন্দ্য ৷ এরপর একজায়গায় অনিন্দ্য লেখেন, "জানেন সুমন দা,আপনার অনুপস্থিতিতে আমরা বন্ধুরা নিজেরা আলোচনা করতাম রবিঠাকুর,সলিল চৌধুরী কিম্বা হেমাঙ্গ বিশ্বাসে পরে এরকম বলিষ্ঠ 'কবিয়াল' সত্যিই বাংলায় আসেননি ৷ বিরল প্রতিভা ৷ বিরল ব্যক্তিত্ব! কিন্তু যেদিন সেসব কথা আপনি নিজেই বলতে শুরু করলেন ৷ সেদিন থেকেই আমার নিজের কেমন খটকা লাগতে শুরু করল ৷ সত্যি বলছি, আপনার মধ্যে আত্মম্ভরিতার ছোঁয়া পেলাম ৷ অহংবোধ লক্ষ্য করেছিলাম ৷"
এরপর শিল্পী লেখেন, "প্রায় চার-পাঁচ ঘন্টার ওপর হয়ে গেল আপনাকে এই খোলা চিঠি লিখছি ৷ প্রকাশ্যে সেই চিঠি পোস্টও করব ৷ আমার জীবনের এতটা সময় আজ আপনার জন্য ব্যয় করলাম কারণ আপনাকে এই কথাগুলো আমার বলার ছিল ৷ আপনার গান আর জীবনে কোনদিনও গাইব না ৷ কোথাও না! না, কোন রাগ বা ঘেন্না থেকে নয় ৷ এক তীব্র অভিমান থেকে ৷ বুঝেছেন? তাকে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বলে! ভাল থাকবেন আমার একদা প্রিয় পিতৃতূল্য 'নাগরিক কবিয়াল'আমি চাই এই চিঠি আপনার কাছে পৌঁছাক ৷ ইতি-অনিন্দ্য ৷"
ডিভোর্সী মেয়ে মানেই শ্লীলতাহানি-হয়রানির অধিকার পেয়ে যাওয়া! বিস্ফোরক মধুমিতা