কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর: আপনার স্বপ্ন বা জরুরি প্রয়োজন পূরণের জন্য সবসময় টাকার প্রয়োজন। যে গ্রাহক বা ঋণগ্রহীতার গৃহঋণ এবং ব্যক্তিগত ঋণ ইতিমধ্যেই রয়েছে, তাঁকে অনেক সময় ব্যাঙ্ক নতুন করে ঋণ দিতে চায় না ৷ কারণ, তাঁর উপর ইতিমধ্যেই গৃহঋণ এবং ব্যক্তিগত ঋণের ইএমআই বা মাসিক কিস্তির চাপ রয়েছে। এই রকম পরিস্থিতিতে টপ আপ লোনের মাধ্যমে ওই গ্রাহক বা আবেদনকারী সহজেই তাঁর আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
টপ আপ লোন হল এমন একটি লোন যেখানে আপনার ইতিমধ্যে বিদ্যমান লোনের উপর ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ প্রদান করে। এটি হোম লোন, পার্সোনাল লোন এবং অন্য কোনও লোনের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। এটিকে এক ধরনের 'অ্যাড অন' সুবিধা হিসাবে দেখা হয় যা ব্যাঙ্ক শুধুমাত্র তার বিদ্যমান গ্রাহকদের দিয়ে থাকে। এটি এমন একটি লোন যাতে ঋণগ্রহীতার বিদ্যমান লোনের সঙ্গে চাহিদা অনুযায়ী ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসাবে প্রদান করে। গৃহঋণ বা ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে এই টপ আপ-এর প্রয়োজন হয়।
পোস্ট অফিসের এইসব স্কিমে পাবেন 8.2% পর্যন্ত সুদ ! নিরাপদে দ্রুত বাড়বে সঞ্চয়
কখন টপ আপ লোন নেওয়া উচিত ?
- যখন আপনার ইতিমধ্যেই ব্যক্তিগত ঋণ, হোম লোন বা অন্য কোনও ঋণ রয়েছে এবং আপনার ফের অর্থের প্রয়োজন পড়ে।
- আপনার যখন ঋণ বাবদ অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন পড়ে এবং ব্যাঙ্কে যাওয়ার ঝামেলা এড়াতে চান, তখন টপ আপ লোন নেওয়া যেতে পারে ৷
- টপ লোন শুধুমাত্র তাদেরই নেওয়া উচিত যারা একসঙ্গে একাধিক লোন চালাতে চান না এবং তাদের যাবতীয় লোন একত্রিত করার চেষ্টা করছেন।
টপ আপ লোনের সুবিধা কী কী ?
- টপ আপ লোন নেওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, কোনও ব্যাঙ্কের একজন বর্তমান গ্রাহকের লোনের আবেদন দ্রুত অনুমোদন হয়ে যায় এবং টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে চলে আসে।
- একজন বিদ্যমান গ্রাহকের এই টপ আপ লোন পেতে ব্যাঙ্কে খুব বেশি নথিপত্র জমা দেওয়ার ঝামেলায় পড়তে হয় না।
- যদি আপনার সিবিল স্কোর (750 বা তার বেশি হয়) এবং ক্রেডিট হিসট্রি ভাল হয়, যদি আপনি সমস্ত লোনের মাসিক কিস্তি সময়মতো প্রদান করে থাকেন, তাহলে ব্যাঙ্ক আপনাকে বর্তমান সুদের হার থেকে কম হারে ঋণ দিতে পারে।
- এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, টপ আপ লোন নেওয়ার পরেও আপনার বিদ্যমান ঋণের মেয়াদ বাড়ে না।
- এর আরেকটি বড় সুবিধা হল, আপনি যখন টপ আপ লোন নেন, তখন আপনাকে ব্যাঙ্কের কাছে অতিরিক্ত কিছু বন্ধক রাখতে হয় না।
সেভিংস অ্যাকাউন্টে এর চেয়ে বেশি টাকা নেই তো ? নোটিস পাঠাবে আয়কর দফতর