হায়দরাবাদ, 4 জানুয়ারি: চলতি বিপণন মৌসুমের প্রথম প্রান্তিকে এক বছর আগের তুলনায় চিনির উৎপাদন প্রায় 16 শতাংশ কমেছে। এ কারণে চিনির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (ISMA) চিনি উৎপাদনের প্রথম হিসাব প্রকাশ করেছে। 1 অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে চিনি বিপণন মৌসুম।
চিনির উৎপাদন কতটা কমেছে?
2024-25 মৌসুমের প্রথম ত্রৈমাসিকে চিনির উৎপাদন দাঁড়িয়েছে 95.40 লাখ টন। এক বছর আগে এই সংখ্যা ছিল 113.01 লাখ টন।
চিনি উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ কী?
ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (ISMA) মতে, কিছু রাজ্যে ইথানল উৎপাদন বেড়েছে। এই কারণে চিনির উৎপাদন কমে গিয়েছে। এর আগে 2023-24 সালে ইথানলের উৎপাদন ছিল 21.50 লক্ষ টন যেখানে 2024-25 সালে ইথানলের উৎপাদন হয়েছে 40 লক্ষ টন। অন্যদিকে, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রে দেরিতে ফলন শুরু হয়েছে। এটিও উৎপাদন কমার একটি বড় কারণ।
উত্তরপ্রদেশে চিনির উৎপাদন কমেছে। এর আগে 2023 সালে, মহারাষ্ট্রে 38.20 লক্ষ টন চিনি উৎপাদিত হয়েছিল, যা 2024 সালে 30 লক্ষ টনে নেমে এসেছে। চিনি উৎপাদনে দেশের তৃতীয় রাজ্য কর্ণাটকেও এবার ফলন কমেছে। এবার কর্ণাটকে চিনির উৎপাদন গত বারের 24.91 লাখ টন থেকে কমে 20.40 লাখ টন হয়েছে।
চিনির দাম বাড়বে?
চিনি শিল্প সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে অনেক মিলেই উৎপাদন চলছে। এতে চিনি জোগান বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে উৎপাদনে ঘাটতি থাকলে তার প্রভাব চিনির দামেও পড়তে পারে। চিনির বাজার অনুযায়ী, দিল্লিতে চিনির বর্তমান খুচরো মূল্য প্রতি কেজিতে 42 টাকা।
চিনির জোগানে কি ঘাটতি হতে পারে?
ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (ISMA) ডিরেক্টর দীপক বল্লানির মতে, দেশে চিনির ঘাটতির কোনও সম্ভাবনা নেই। বাজারে চিনির কোনও অভাব নেই। আগামী বছরেও চিনির উৎপাদন ভালো বলে মনে করা হচ্ছে।