কলকাতা, 7 অগস্ট: সোনা ও রুপোর দামে বড় পতন হয়েছে। আপনি যদি এখন সোনা কিনতে চান, এখনই উপযুক্ত সময় হতে পারে। বুলিয়ন এবং ফিউচার উভয় বাজারেই দরপতন হয়েছে। আপনি যদি এখন সোনা কিনতে চান, এখনই উপযুক্ত সময় হতে পারে। বুলিয়ন এবং ফিউচার উভয় বাজারেই আজ সোনার দর পতন হয়েছে। বুধবার ভারতীয় ফিউচার মার্কেটে সোনার দাম মন্দা ছিল। রুপোর লেনদেনও পতনের সঙ্গেই শুরু হয়েছিল ৷ কিন্তু তার পরে রুপোর দর গতি লাভ করে এবং 165 টাকা বেড়ে যায়। সোনার দাম প্রতি 10 গ্রামে 25 টাকা কমে 68,940 টাকা হয়েছে। গতকাল এটি 68,965 টাকায় বন্ধ হয়েছিল। রুপোর দর 165 টাকা বেড়ে প্রতি কেজিতে 79,788 টাকা ছিল। গতকাল রুপোর দর 79,623 টাকা ছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দরপতন:
বিদেশের বাজারেও সোনার দাম কমেছে। ডলার এবং বন্ডের চাহিদা শক্তিশালী হওয়ার কারণে সোনার দাম কমেছে। ইউএস স্পট গোল্ডের দর 0.80 শতাংশ কমে 2,388.34 ডলার হয়েছে। পাশাপাশি, সোনার ফিউচার দর 0.5 শতাংশ কমে 2,431.60 ডলার হয়েছে। তবে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং আগামী মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর ইঙ্গিতের কারণে সোনার দর আরও কমতে পারে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
দিল্লির বুলিয়ন বাজারে সোনা-রুপোর ব্যাপক দরপতন:
দিল্লিতে সোনার দাম 1,100 টাকা এবং রুপোর দর 2,200 টাকা কমেছে। প্রকৃতপক্ষে, দেশের দুর্বল চাহিদার কারণে, স্থানীয় বুলিয়ন বাজারে মঙ্গলবার সোনার দাম 1,100 টাকা কমে প্রতি 10 গ্রাম 71,700 টাকা হয়। এর আগের ট্রেডিং সেশনে, সোনার প্রতি 10 গ্রামের দর ছিল 72,800 টাকা। অল ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আজ নিয়ে টানা চারদিন পড়ল রুপোর দাম এবং 2,200 টাকা কমে প্রতি কেজিতে 82,000 টাকা হয়েছে। গত ট্রেডিং সেশনে রুপোর দর প্রতি কেজিতে 84,200 টাকা ছিল।
2 অগস্ট, রুপোর দাম প্রতি কেজি 86,000 টাকা ছিল ৷ তারপরে চারটি সেশনে এর দাম প্রতি কেজিতে মোট 4,200 টাকা কমেছে । এছাড়া, 99.5 শতাংশ বিশুদ্ধ সোনার দাম প্রতি 10 গ্রামে 1100 টাকা কমে 71,350 টাকা হয়েছে । এর আগের দিন সোনার দর প্রতি 10 গ্রামে ছিল 72,450 টাকা ।
এটাই কি সোনা কেনার সেরা সময়?
বাজার সূত্র জানা গিয়েছে, জুয়েলার্স এবং খুচরো ক্রেতাদের কাছে চাহিদা কমে যাওয়ায় সোনার দাম কমেছে ৷ এইচডিএফসি সিকিউরিটিজের বাজার বিশ্লেষক দিলীপ পারমারের মতে, দেশীয় বাজারে সোনার দাম কমেছে ৷ তবে উৎসবের মরসুমের আগে ফের দাম বাড়বে সোনার ৷ তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের চাহিদা এবং কম সুদের হার সোনার বাজারের জন্য ভালো লক্ষণ।