কলকাতা, 12 জুন: এশিয়া ও আফ্রিকার চা উৎপাদকদের সংগঠনগুলো চায়ের বিশ্বব্যাপী চাহিদা ও সরবরাহের মধ্য়ে পার্থক্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৷ শুক্রবার এই নিয়ে চা বাগানের একটি সংস্থার তরফে বিবৃতি জারি করা হয়েছে ৷ এই বিষয়টিতে ভারসাম্য আনার দাবি তুলেছে তারা ৷
সম্প্রতি দুবাইতে অনুষ্ঠিত সারা বিশ্বের চা শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের একটি বৈঠক হয় ৷ সেখানে চায়ের গুণমান ও এই শিল্পের স্থায়িত্বের দীর্ঘমেয়াদ নিয়েও আলোচনা হয় ৷ আইটিএ, ইস্ট আফ্রিকান ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (ইএটিটিএ), কেনিয়ার স্বাধীন চা উৎপাদনকারী সংস্থা এবং মালাউই, বাংলাদেশ ও উগান্ডার চা সমিতির প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন ।
ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিএ) চেয়ারম্যান হেমন্ত বাঙ্গুর জানিয়েছেন যে বিশ্বব্যাপী চা শিল্প চাহিদা ও সরবরাহের অমিলের সম্মুখীন হচ্ছে ৷ কারণ উৎপাদন চাহিদাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে । আইটিএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউরোপ ও এশিয়ায় চায়ের চাহিদা কমে যাওয়া নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন ৷ বাঙ্গুর বলেন, "আফ্রিকার মধ্যে তার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং ক্রমবর্ধমান আয়ের সঙ্গে কালো চায়ের অন্যতম বড় বাজার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।"
আইটিএ-র ওই বিবৃতি অনুসারে, ইএটিটিএ চেয়ারম্যান আর্থার সিউ জানিয়েছেন যে পূর্ব আফ্রিকার চা শিল্প বর্তমানে গুণমান হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সমস্যাগুলির মুখোমুখি হচ্ছে ৷ যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন । বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, দাম বৃদ্ধি না হওয়া, ক্রমবর্ধমান খরচ ও ন্যায্যমূল্য ঠিক করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় ৷
মালাউই টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাংওয়ানি হারাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা এবং চা উৎপাদনশীলতার মাত্রা ধরে রাখতে এর সমাধান করতে হবে । আইটিএ-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই শিল্পে রফতানি ও পণ্যের মূল্য হ্রাসের সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে ৷
স্টেকহোল্ডাররা আরও অনুভব করেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা এবং ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি তা চা রফতানির বাজারে প্রভাব পড়েছে ৷ রাশিয়ান ফেডারেশন চায়ের অন্যতম বড় আমদানিকারক, বিশেষ করে ভারত থেকে ।