আগ্রা, 2 অগস্ট: জমি সংক্রান্ত সামান্য বিবাদ ৷ আর তার জেরেই আগ্রায় যুবককে জ্যান্ত মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেখানেই প্রাণ যেতে পারত যুবকের কিন্তু ত্রাতার ভূমিকায় উঠে এল রাস্তার কয়েকটি কুকুর ৷
রাতে কুকুররা গর্ত খুঁড়ছিল তখনই আঁচড় লাগে যুবকের গায়ে ৷ যার জেরে জ্ঞান ফিরে আসে ওই যুবকের ৷ এরপর কোনওরকমে সেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে যুবকটি। সেই অবস্থাতেই বাড়িতে পৌঁছয় রূপ কিশোর নামে ওই যুবক ৷ পরিবারের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সিকান্দ্রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নির্যাতিত যুবক। যুবকের পরিবার পুলিশ কমিশনার জে রবিন্দর গৌরের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনার 13 দিন পর বুধবার রাতে পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
সিকান্দ্রা থানা এলাকার আরতউনি গ্রামের বাসিন্দা রামবতী পুলিশকে জানিয়েছেন, গত 18 জুলাই গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ হয়। যার জেরে জখম হন এক ব্যক্তি। তিনি তাঁর বাড়ির বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বলেই জানিয়েছেন রামবতী। সেখানেই তাঁকে গালিগালাজ করছিল কয়েকজন । যা নিয়ে রামবতীর ছেলে রূপ কিশোর (24) ওই ব্যক্তির হয়ে প্রতিবাদ করে ৷ সেখানে দাঁড়িয়ে গালিগালাজ করতে না বলেন। রামবতী জানান, ওইদিন রাত 11টার দিকে অঙ্কিত, গৌরব, করণ ও আকাশ সেই বাড়িতে আসে।
রামবতীর অভিযোগ, গ্রাম প্রধান পুষ্পেন্দ্র, রূপ কিশোরকে ডেকেছেন বলে জানায় তারা। এর ফলে রূপ তাদের সঙ্গে যান। চারজনই তাঁকে গ্রামের বাইরে মাঠে নিয়ে গিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর গলায় দড়ি বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টাও হয়। রূপ কিশোরকে মৃত ভেবে তারা মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তাঁকে সেখানেই চাপা দিয়ে দেয়।
আহত ওই যুবক জানান, গভীর রাতে গর্তের কাছে আসে কয়েকটি কুকুর । তারা একটি গর্ত খুঁড়তে থাকে ৷ সেই সময়ই আঁচড় লাগে তাঁর গায়ে ৷ ওই যুবকের কথায়, "আমি চিৎকার করে উঠি ৷ এতে তারা পালিয়ে যায়। এর পর কোনওমতে গর্ত থেকে বেরিয়ে এলাম। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানায় পরিবার।"
পুলিশ অভিযোগ নিলেও গত 13 দিন ধরে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ৷ রামবতী জানান, তাঁর ছেলের এমন অবস্থা করার জন্য অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে তিনি বারবার পুলিশের কাছে গিয়েছেন ৷ এরপর পুলিশ কমিশনার জে রবিন্দর গৌড়ের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর বুধবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়। সিকান্দ্রা থানার ইনচার্জ নীরজ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।