নয়াদিল্লি, 24 এপ্রিল: 'নির্বিচারে' রাজ্যের 25,753 জনের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এসএসসি দুর্নীতি মামলায় উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই অভিযোগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার ৷ রাজ্যের তরফে আবেদন পত্রে জানান হয়েছে, সরকার এবং মামলাকারীদের সময় না দিয়ে চাকুরিজীবীদের পুরো প্যানেল বাতিন করে দিয়েছে উচ্চ আদালত ৷ এই নির্দেশের প্রভাব কী হতে পারে, সে বিষয়ে কিছু না ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত ৷ এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা স্থির হয়ে পড়েছে ৷
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানির পর সোমবার রায় ঘোষণা করে উচ্চ আদালতের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের 2016 পুরো প্যানেল (গ্রুপ-সি, ডি, নবম-দ্বাদশ) বাতিল করেন তাঁরা ৷ আর তাতে চাকরিহারা হয়ে পড়েন 25,573 জন ৷ 281 পাতার রায়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নয়া টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশও দেয় আদালত ৷ ভোট মিটলে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে ৷
এই রায়ের পরও সিবিআই'কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি সমস্ত ওএমআর শিটের কপি এসএসসি সার্ভারে আপলোড করারও নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ পরবর্তী তদন্ত চলাকালীন নিয়োগ দুর্নীতিতে যদি রাজ্যের আরও কোনও মন্ত্রীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে সিবিআই বলেও স্পষ্ট জানায় আদালত ৷ এখানেই শেষ নয়, বেআইনিভাবে যারা চাকরি করেছেন, তাদের 12% সুদ-সহ বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ৷ সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের হাইকোর্টের নির্দেশ, 6 সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরতের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে ৷
রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের রায় প্রকাশ্যে আসার পরই স্পষ্ট হয়ে যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসুও বারবার জানিয়েছেন তাঁরা চাকরিহারাদের পাশে আছেন। সোমবার রায় ঘোষণার পর থেকে প্রায় প্রতিটি সভাতেই মমতা জানানা, তাঁরা চাকরিহারা দের পাশে আছেন। একইসঙ্গে বিচারপতিদের সমালোচনাও করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
আরও পড়ুন: