হায়দরাবাদ, 8 জুন: ওয়েনাড় ও রায়বেরেলি-এবারের লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গান্ধি। দুটি আসনেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি ৷ এমনকী দুটি আসন থেকেও নির্বাচনের জয়ের শংসাপত্র নিয়েছেন এই কংগ্রেস নেতা ৷ এর ফলে রাহুল এই দুটি কেন্দ্র থেকে সংসদের সদস্য হয়েছেন । কিন্তু দেশের সংবিধান অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি একইসঙ্গে দুটি আসনের সাংসদ পদে থাকতে পারেন না । তাঁকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুটি আসনের মধ্যে যে কোনও একটি ছেড়ে দিতে হবে ।
তাই এখন প্রশ্ন উঠছে, রাহুল কোন আসনটি ধরে রাখবেন? ওয়েনাড় নাকি রায়বেরেলি ! শুধু কংগ্রেস কর্মীরা নন, বিজেপিও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রাহুলের সিদ্ধান্ত জানতে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে রাহুলের হাতে খুবই কম সময় আছে। লোকসভার প্রাক্তন সচিব পিডিটি আচারি ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের 14 দিনের মধ্যে জয়ী প্রার্থীকে ঠিক করতে হবে তিনি কোন আসটি ধরে রাখবেন। 4 জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে ৷ ফলে 18 জুনের মধ্যে যে কোনও একটি আসন ছাড়তে হবে রাহুলকে । এর মধ্যে 4 দিন কেটে গিয়েছে ৷ কংগ্রেস নেতার হাতে সময় রয়েছে আর 10 দিন ৷ নির্বাচন কমিশন 6 মাসের মধ্যে খালি হওয়া আসনে উপনির্বাচন করবে ।
আইন বলা হয়েছে 14 দিনের মধ্যে সাংসদকে ঠিক করতে হবে কোন আসন তিনি ধরে রাখবেন ৷ তবে বাস্তব কথা বলছে অন্য ৷ রাহুল গান্ধি 18 জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবেন না। তার আগে লোকসভা অধিবেশন ডাকার সম্ভাবনা রয়েছে । 18তম লোকসভা নির্বাচনের পরে রবিবার প্রধানমন্ত্রী-সহ কেন্দ্রের নতুন সরকারের মন্ত্রীরা শপথ নেবেন। সংসদীয় রীতি মেনে হবে মন্ত্রিসভার বৈঠকও।
এরইমধ্যে লোকসভা অধিবেশন আহ্বানের তারিখও ঠিক হয়ে যাবে । লোকসভা আহ্বানের তারিখ ঠিক হয়ে গেলে লোকসভা সচিবালয় থেকে নির্বাচিত সমস্ত সাংসদের কাছে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে । প্রো-টেম স্পিকারের সভাপতিত্বে সাংসদদের শপথগ্রহণ দিয়েই পথ চলা শুরু করবে নতুন লোকসভা । তার আগে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ করে লোকসভা সচিবালয়কে জানাতে হবে রাহুলকে ।
লোকসভার প্রাক্তন সচিব পিডিটি আচারি ইটিভি ভারতকে আরও জানিয়েছেন, 18তম লোকসভায় অধ্যক্ষের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে ৷ এবারে লোকসভায় একাধিক সাংসদ-সহ অনেক ছোট দল রয়েছে। পাশাপাশি সরকারেরও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই । তবে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে রাজনৈতিক দলগুলো বিভক্ত হয়ে অন্য দলের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না । কিন্তু অধ্যক্ষ সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সর্বভারতীয় সভাপতির অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের অন্তর্ভুক্তিকে মান্যতা দিতে পারবেন না । পিডিটি আচারি বলেন, "সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতির চিঠি থাকলেই এমন পরিস্থিতিতে জোট থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া সদস্যরা অযোগ্যতার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন ।"