ETV Bharat / bharat

ভোটে প্রচারসঙ্গী নয়, এবার নিজেই প্রার্থী; ওয়েনাড়ে কংগ্রেসের বাজি 'প্রিয়াঙ্কা ফ্যাক্টর'

বুধবার, ওয়েনাড় লোকসভায় উপ-নির্বাচন ৷ প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা তাঁর জীবনের প্রথম নির্বাচন লড়ছেন ৷ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির নব্যা এবং সিপিআই-এর সত্যেন মোকেরি ৷

Priyanka Gandhi Vadra
প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরার প্রথম নির্বাচনী পরীক্ষা (ছবি সৌজন্য: প্রিয়াঙ্কা গান্ধির এক্স হ্যান্ডেল)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 12, 2024, 7:41 PM IST

ওয়েনাড়, 12 নভেম্বর: পঁচিশ বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ভোটের ময়দানে আসতে এখনও অনেক অনেক দেরি ৷ সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে ৷ জীবনের প্রথম নির্বাচন লড়ছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজীব-তনয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ রাত পোহালে তাঁর ভাগ্য পরীক্ষা ৷ এখানে আরেকটি প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই উঠে আসে, ভোট ময়দানে 'প্রিয়াঙ্কা-ম্যাজিক' কংগ্রেসকে আরও গান্ধি-মুখাপেক্ষী করে তুলল না তো ?

কখনও মা সোনিয়া গান্ধি তো কখনও দাদা রাহুল গান্ধির জন্য দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ- তাঁকে প্রচারে দেখা গিয়েছে ৷ এবার প্রিয়াঙ্কা নিজেই প্রার্থী ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসের গুরুত্ব বদলেছে ৷ গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস 99টি আসনে জয়ী হয়ে বিরোধী দলের আসন পেয়েছে ৷ এই নির্বাচনের নেপথ্যে ছিল জোট রাজনীতির রণকৌশল ৷

2019 সালে ওয়েনাড় থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল গান্ধি, যা রেকর্ড গড়েছিল ৷ সেবার অবশ্য আমেঠি লোকসভায় তিনি পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে ৷ তাই গান্ধি পরিবারের কাছে ওয়েনাড়ের গুরুত্ব কিছুটা অন্যরকম, বলাই যায় ৷ 2024 সালে এই কেরলের ওয়েনাড় এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি- দু'টি আসনেই জয়ী হন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল ৷ পরে ওয়েনাড় থেকে ইস্তফা দেন তিনি ৷ তবে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে ৷

22 অক্টোবর রাতে মা সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে ওয়েনাড়ে পৌঁছন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ পরদিন 23 অক্টোবর দাদা রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে মেগা রোড শো করে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৷ ওয়েনাড়ের রাস্তায় ওই রোড শোতে স্ত্রীর পাশেই দেখা গিয়েছে রবার্ট বঢরা, ছেলে রাইহানকেও ৷ প্রিয়াঙ্কা জনসভা থেকেই বলেছিলেন, "নির্বাচনে আমি এই প্রথম ৷ কিন্তু, 35 বছর ধরে প্রচার চালিয়েছি ৷"

1999 সালে মা সোনিয়া গান্ধির হয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে তিনি নজর কেড়েছিলেন ৷ তখন তাঁর বয়স মাত্র 27 ৷ কর্ণাটকের খনি অঞ্চল বেলারিতে প্রচারের সময় তিনি স্পষ্ট করেছিলেন ৷ এখনই ভোটের রাজনীতিতে নয়, এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি ৷ সেই কথা রেখে ভোট ময়দানে অবতীর্ণ হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ সোমবার তাঁর নির্বাচনী প্রচার শেষ হয় রোড শো-এর মাধ্যমে ৷ পাশে ছিলেন দাদা রাহুল ৷

নির্বাচনী প্রচারে ওয়ানাড়ের সঙ্গে কংগ্রেস পরিবারের আবেগঘন সম্পর্কের উপরই জোর দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ৷ তাঁর উপস্থিতি কংগ্রেসের একেবারে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মনের জোরও বাড়িয়েছে ৷ কালপেট্টার কংগ্রেস বিধায়ক টি সিদ্দিকি বলেন, "প্রচারে সব স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ৷" তাঁর এই থাকাটা কংগ্রেসের নিচু স্তরের মানুষের মনে আশা জাগিয়েছে, শক্তি দিয়েছে ৷ বিধায়ক আরও বলেন, "তিনি (প্রিয়াঙ্কা) মনে করিয়ে দিয়েছেন যে এখানে তিনি শুধু প্রার্থী নন ৷ তাঁর বাবা রাজীব গান্ধির ধারা বহন করে চলেছেন, পরিবারের এক সদস্য ৷"

তাঁর মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে দেখতে পান অনেকে ৷ প্রচারে অনেকটা সময় প্রিয়াঙ্কা এখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাটিয়েছেন ৷ রোড শো এবং বিভিন্ন জনসভাতে তাঁকে দেখতে সব বয়সিরাই ভিড় জমিয়েছিলেন ৷

বিরোধী বিজেপি এবং সিপিআই অবশ্য কটাক্ষ করেছে, এই প্রচার জাঁকজমকেই সীমাবদ্ধ ৷ বাস্তব থেকে অনেক দূরে ৷ লোকসভা কেন্দ্রে সব সময় রাহুলের না-থাকাটা বিরোধী শিবিরের কাছে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে ৷ বিজেপি নেতা কে সদানন্দন প্রিয়াঙ্কাকে রাজনৈতিক পরিযায়ী পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, "এমন কাউকে চাই না, যিনি শুধু আসবেন আর যাবেন ৷ দীর্ঘসময় ধরে সম্পর্ক রয়েছে, এমন কাউকে চাই ৷ দাদার বদলে বোনকে দাঁড় করিয়ে কংগ্রেস ওয়েনাড়ের সঙ্গে ঠাট্টা করেছে ৷"

গান্ধি পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে ওয়েনাড় থেকে বিজেপির প্রার্থী নব্যা হরিদাস ৷ এলাকার প্রান্তিক শ্রেণির কাছে তিনি জনপ্রিয় বলে জানা গিয়েছে ৷ বন্যপ্রাণীর আক্রমণ, কর্মসংস্থানের মতো দৈনন্দিন ইস্যুগুলি নিয়ে তিনি প্রচার করেছেন ৷ নব্যার প্রচার দল জানিয়েছে, তাঁর শক্তি নিহিত রয়েছে তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতায় ৷

স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মতে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরার বিরুদ্ধে নব্যা একদম সঠিক পছন্দ ৷ গেরুয়া শিবির প্রচারে স্থানীয়দের আশ্বাস দিয়েছে, নব্যা শুধু ভোটের জন্য প্রতীক হাতে প্রচার করতে আসেননি ৷ তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে থাকা সমস্যাগুলির সমাধান করবেন ৷

রাহুল গান্ধি ওয়েনাড়ের সাংসদ হয়ে এই কেন্দ্রে খুব ঘন ঘন এসেছেন, এমনটা নয় ৷ তাঁর এই না-আসাটাকেই হাতিয়ার করেছে সিপিআই ৷ সিপিআই নেতা রাজ্যসভার সদস্য সন্তোষ কুমার বলেন, "সাংসদ হয়েও ওয়েনাড়বাসীর সমস্যা নিয়ে উদাসীন ছিলেন রাহুল গান্ধি ৷ আমরা ভোটারদের এটা বোঝাতে পেরেছি যে, কেন এই উপ-নির্বাচনের প্রয়োজন হল ৷" সিপিআই প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে প্রচারে স্থানীয়দের কাছে এটাই তুলে ধরেছে যে, যেমন দাদা, তেমনই বোন ৷ রাহুল যেমন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু হাতেকলমে তা করেননি ৷ বোন প্রিয়াঙ্কা সেই পথেই হাঁটবেন ৷ ওয়েনাড়ে বিধ্বংসী ধস নামার সময় সেখানে কোনও সাংসদ ছিলেন না, প্রচার করেছে সিপিআই ৷

ওয়েনাড় লোকসভা উপ-নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কার প্রতিপক্ষ সিপিআই প্রার্থী করেছে সত্যেন মোকেরি ৷ তিনি বলেন, "শুধু একটা আবেগী যোগাযোগ নয় ৷ ভোটাররা নেতা চায়, যিনি সমস্যাগুলিকে সামলাতে পারবেন ৷" তিনি কংগ্রেসের এই নির্বাচনী প্রচারকে রাজনৈতিক চমক বলে কটাক্ষ করেছেন ৷ ওয়েনাড়ের ভোটারদের কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আবেগ নাকি বাস্তবতা ? প্রিয়াঙ্কার প্রথম ভোটে ফলাফল জানা যাবে 10 দিন পর, 23 নভেম্বর ৷

ওয়েনাড়, 12 নভেম্বর: পঁচিশ বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ভোটের ময়দানে আসতে এখনও অনেক অনেক দেরি ৷ সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে ৷ জীবনের প্রথম নির্বাচন লড়ছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজীব-তনয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ রাত পোহালে তাঁর ভাগ্য পরীক্ষা ৷ এখানে আরেকটি প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই উঠে আসে, ভোট ময়দানে 'প্রিয়াঙ্কা-ম্যাজিক' কংগ্রেসকে আরও গান্ধি-মুখাপেক্ষী করে তুলল না তো ?

কখনও মা সোনিয়া গান্ধি তো কখনও দাদা রাহুল গান্ধির জন্য দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ- তাঁকে প্রচারে দেখা গিয়েছে ৷ এবার প্রিয়াঙ্কা নিজেই প্রার্থী ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসের গুরুত্ব বদলেছে ৷ গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস 99টি আসনে জয়ী হয়ে বিরোধী দলের আসন পেয়েছে ৷ এই নির্বাচনের নেপথ্যে ছিল জোট রাজনীতির রণকৌশল ৷

2019 সালে ওয়েনাড় থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল গান্ধি, যা রেকর্ড গড়েছিল ৷ সেবার অবশ্য আমেঠি লোকসভায় তিনি পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে ৷ তাই গান্ধি পরিবারের কাছে ওয়েনাড়ের গুরুত্ব কিছুটা অন্যরকম, বলাই যায় ৷ 2024 সালে এই কেরলের ওয়েনাড় এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি- দু'টি আসনেই জয়ী হন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল ৷ পরে ওয়েনাড় থেকে ইস্তফা দেন তিনি ৷ তবে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে ৷

22 অক্টোবর রাতে মা সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে ওয়েনাড়ে পৌঁছন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ পরদিন 23 অক্টোবর দাদা রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে মেগা রোড শো করে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৷ ওয়েনাড়ের রাস্তায় ওই রোড শোতে স্ত্রীর পাশেই দেখা গিয়েছে রবার্ট বঢরা, ছেলে রাইহানকেও ৷ প্রিয়াঙ্কা জনসভা থেকেই বলেছিলেন, "নির্বাচনে আমি এই প্রথম ৷ কিন্তু, 35 বছর ধরে প্রচার চালিয়েছি ৷"

1999 সালে মা সোনিয়া গান্ধির হয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে তিনি নজর কেড়েছিলেন ৷ তখন তাঁর বয়স মাত্র 27 ৷ কর্ণাটকের খনি অঞ্চল বেলারিতে প্রচারের সময় তিনি স্পষ্ট করেছিলেন ৷ এখনই ভোটের রাজনীতিতে নয়, এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি ৷ সেই কথা রেখে ভোট ময়দানে অবতীর্ণ হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ সোমবার তাঁর নির্বাচনী প্রচার শেষ হয় রোড শো-এর মাধ্যমে ৷ পাশে ছিলেন দাদা রাহুল ৷

নির্বাচনী প্রচারে ওয়ানাড়ের সঙ্গে কংগ্রেস পরিবারের আবেগঘন সম্পর্কের উপরই জোর দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ৷ তাঁর উপস্থিতি কংগ্রেসের একেবারে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মনের জোরও বাড়িয়েছে ৷ কালপেট্টার কংগ্রেস বিধায়ক টি সিদ্দিকি বলেন, "প্রচারে সব স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ৷" তাঁর এই থাকাটা কংগ্রেসের নিচু স্তরের মানুষের মনে আশা জাগিয়েছে, শক্তি দিয়েছে ৷ বিধায়ক আরও বলেন, "তিনি (প্রিয়াঙ্কা) মনে করিয়ে দিয়েছেন যে এখানে তিনি শুধু প্রার্থী নন ৷ তাঁর বাবা রাজীব গান্ধির ধারা বহন করে চলেছেন, পরিবারের এক সদস্য ৷"

তাঁর মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে দেখতে পান অনেকে ৷ প্রচারে অনেকটা সময় প্রিয়াঙ্কা এখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাটিয়েছেন ৷ রোড শো এবং বিভিন্ন জনসভাতে তাঁকে দেখতে সব বয়সিরাই ভিড় জমিয়েছিলেন ৷

বিরোধী বিজেপি এবং সিপিআই অবশ্য কটাক্ষ করেছে, এই প্রচার জাঁকজমকেই সীমাবদ্ধ ৷ বাস্তব থেকে অনেক দূরে ৷ লোকসভা কেন্দ্রে সব সময় রাহুলের না-থাকাটা বিরোধী শিবিরের কাছে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে ৷ বিজেপি নেতা কে সদানন্দন প্রিয়াঙ্কাকে রাজনৈতিক পরিযায়ী পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, "এমন কাউকে চাই না, যিনি শুধু আসবেন আর যাবেন ৷ দীর্ঘসময় ধরে সম্পর্ক রয়েছে, এমন কাউকে চাই ৷ দাদার বদলে বোনকে দাঁড় করিয়ে কংগ্রেস ওয়েনাড়ের সঙ্গে ঠাট্টা করেছে ৷"

গান্ধি পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে ওয়েনাড় থেকে বিজেপির প্রার্থী নব্যা হরিদাস ৷ এলাকার প্রান্তিক শ্রেণির কাছে তিনি জনপ্রিয় বলে জানা গিয়েছে ৷ বন্যপ্রাণীর আক্রমণ, কর্মসংস্থানের মতো দৈনন্দিন ইস্যুগুলি নিয়ে তিনি প্রচার করেছেন ৷ নব্যার প্রচার দল জানিয়েছে, তাঁর শক্তি নিহিত রয়েছে তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতায় ৷

স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মতে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরার বিরুদ্ধে নব্যা একদম সঠিক পছন্দ ৷ গেরুয়া শিবির প্রচারে স্থানীয়দের আশ্বাস দিয়েছে, নব্যা শুধু ভোটের জন্য প্রতীক হাতে প্রচার করতে আসেননি ৷ তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে থাকা সমস্যাগুলির সমাধান করবেন ৷

রাহুল গান্ধি ওয়েনাড়ের সাংসদ হয়ে এই কেন্দ্রে খুব ঘন ঘন এসেছেন, এমনটা নয় ৷ তাঁর এই না-আসাটাকেই হাতিয়ার করেছে সিপিআই ৷ সিপিআই নেতা রাজ্যসভার সদস্য সন্তোষ কুমার বলেন, "সাংসদ হয়েও ওয়েনাড়বাসীর সমস্যা নিয়ে উদাসীন ছিলেন রাহুল গান্ধি ৷ আমরা ভোটারদের এটা বোঝাতে পেরেছি যে, কেন এই উপ-নির্বাচনের প্রয়োজন হল ৷" সিপিআই প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে প্রচারে স্থানীয়দের কাছে এটাই তুলে ধরেছে যে, যেমন দাদা, তেমনই বোন ৷ রাহুল যেমন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু হাতেকলমে তা করেননি ৷ বোন প্রিয়াঙ্কা সেই পথেই হাঁটবেন ৷ ওয়েনাড়ে বিধ্বংসী ধস নামার সময় সেখানে কোনও সাংসদ ছিলেন না, প্রচার করেছে সিপিআই ৷

ওয়েনাড় লোকসভা উপ-নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কার প্রতিপক্ষ সিপিআই প্রার্থী করেছে সত্যেন মোকেরি ৷ তিনি বলেন, "শুধু একটা আবেগী যোগাযোগ নয় ৷ ভোটাররা নেতা চায়, যিনি সমস্যাগুলিকে সামলাতে পারবেন ৷" তিনি কংগ্রেসের এই নির্বাচনী প্রচারকে রাজনৈতিক চমক বলে কটাক্ষ করেছেন ৷ ওয়েনাড়ের ভোটারদের কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আবেগ নাকি বাস্তবতা ? প্রিয়াঙ্কার প্রথম ভোটে ফলাফল জানা যাবে 10 দিন পর, 23 নভেম্বর ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.