ওয়েনাড়, 2 অগস্ট: চারদিকের সবকিছু গিলে খেয়েছে ভয়াল ধস ৷ শ'য়ে শ'য়ে মানুষের মৃত্যু দেখা কেরলের ওয়েনাড়ে এখন স্বজন হারানোর বেদনা ৷ তাঁদেরই একজন কর্তায়নী ৷ মুদাক্কাই গ্রামের এই বাসিন্দা শুক্রবার ফিরেছেন নিজের এলাকায় ৷ তবে তাঁর নিজের বলতে আর বিশেষ কিছু বাকি নেই ৷ তিনি বলেন, "সেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল ৷ পরিবারের সবাই এক আত্মীয়র বাড়ি যান ৷ এরপর সব শেষ হয়ে যায় ৷ ফিরে এসে দেখি সব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ এখন আমার বাড়িও নেই ৷ পরিবারও নেই ৷ প্রতিবেশীরাও নেই ৷"
শুধু কর্তায়নী নন, এই একই অভিজ্ঞতা আরও বহু মানুষের ৷ এখনও পর্যন্ত 308 জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন ৷ নিখোঁজের সংখ্যাও কম নয় ৷ আরও এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে ইটিভি ভারত ৷ শাহির নামে ওই ব্যক্তি তাঁর মা-সহ পরিবারের 16 জনকে হারিয়েছেন ৷ শুধু তাই নয়, এই 16 জনের মধ্যে 7 জনের দেহ উদ্ধার হয় ৷ বাকিরা এখনও নিখোঁজ ৷ তিনি জানান, সেদিন পরিবারের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু কাজের কাজ হয়নি ৷ সময় যত এগিয়েছে ততই শাহির বুঝেছেন পরিবারের ওই সদস্যদের সঙ্গে আর কখনওই যোগাযোগ করা যাবে না ৷
এদিকে ওয়েনাড়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর নির্দেশে এখানে আসছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ ৷ সোশাল মিডিয়ায় এ কথা ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ তৃণমূলের রাজ্যসভার দুই সাংসদ সুস্মিতা দেব ও সাকেত গোখলে ধসে বিধ্বস্ত কেরলের ওয়েনাড়ে যাচ্ছেন ৷ এক্স হ্যান্ডেলে বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রশসানিক প্রধান একথা লিখেছেন ৷
এই মুহূর্তে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত কেরল। ওয়েনাড়ে ভূমিধসের মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ৷ এই ভয়ানক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় পাশে দাঁড়াতে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল সেখানে পাঠাচ্ছেন। এদিন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দলের দুই সাংসদ সাকেত গোখলে ও সুস্মিতা দেবকে তিনি ওয়েনাড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একদিন আগে ঘটনাস্থলে যান রাহুল গান্ধি ৷ বোন প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে এলাকায় গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷