জবলপুর, 18 মে: মুম্বই-সহ দেশের অন্যান্য শহরে বিমান পরিষেবা চালুর দাবিতে আন্দোলন করছেন জবলপুরের নাগরিকরা ৷ যা এক কথায় নজিরবিহীন ৷ জবলপুরে গঠিত হয়েছে 'বায়ু সেবা সংগ্রাম কমিটি'ও। জবলপুর চেম্বার অফ কমার্স, মহাকৌশল চেম্বার অফ কমার্স-এর মতো জবলপুরের ব্যবসায়িক সংগঠন ছাড়াও বহু সামাজিক সংগঠন কমিটিতে এক মঞ্চে মিলিত হয়েছে। এই মানুষদের পাশাপাশি জবলপুরের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী ও আইনজীবীরাও আন্দোলনে নেমেছেন। আন্দোলনের ফলশ্রুতি হিসেবে আগামী 6 জুন তারা বিমান রোকো আন্দোলন করবে বায়ু সেবা সংগ্রাম কমিটি।
আদতে মুম্বইয়ের ফ্লাইট পুনরায় চালু করার জন্যই এই লড়াই শুরু হয়েছে। ইন্ডিগোর বিমান আগে জবলপুর থেকে মুম্বই চলত, কিন্তু কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই তা বন্ধ করে দেওয়া যায়। ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বলা হয়েছিল, মুম্বই বিমানবন্দরে সংস্কারের কাজ চলছে। তাই সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স সংস্থা তাদের বিমান পরিষেবা কয়েকদিন বন্ধ রাখছে ৷ অভিযোগ, পরে অবশ্য আর পরিষেবা চালু করা হয়নি ৷ মুম্বইয়ে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জবলপুরের মানুষ। এরপরই সংগ্রাম কমিটি গঠন করেছে জবলপুরবাসী।
সংগ্রাম কমিটি জানিয়েছে, আগামী 6 জুন তারা বিমান রোকো আন্দোলন করবে। আন্দোলনের জেরে ওইদিন কোনও যাত্রীবাহী বিমান জবলপুরের উপর দিয়ে উড়তে পারবে না। এই ঘোষণার পর 6 জুন জবলপুরবাসীর অনেকেই বিমানের টিকিট বাতিল করছেন। সংগ্রাম কমিটির সদস্য হিমাংশু কারেগা বলেন, "যদি 6 জুন জবলপুরে নো ফ্লায়ার্স ডে পালিত হয়, তবে এই খবর বিমান সংস্থাগুলির কাছে পৌঁছে যাবে ৷ তারা জবলপুরে পরিষেবা শুরু করার কথা ভাবতে শুরু করবে।" কমিটি আরও জানিয়েছে, জবলপুর থেকে শুধু মুম্বই নয় ৷ আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ, কলকাতা, বেঙ্গালুরুতেও বিমান পরিষেবা চালু করতে হবে ৷
উল্লেখযোগ্য, জবলপুরে 430 কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন বিমানবন্দর টার্মিনাল সম্পূর্ণ হয়েছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে ৷ তবে এই টার্মিনালটি নির্মাণের পরপরই জবলপুরে বিমান পরিষেবা কমে যায়। এলাকার মানুষের দাবি, তাদের পরিষেবা দরকার, টার্মিনাল নয়। বর্তমানে জবলপুর থেকে হায়দরাবাদ পর্যন্ত একটি নিয়মিত ফ্লাইট চলছে। ইন্ডিগো এবং স্পাইসজেট উভয়ই জবলপুর থেকে হায়দরাবাদ পর্যন্ত পরিষেবা চালু রেখেছে ৷ এছাড়া দু'টি ফ্লাইট জবলপুর থেকে দিল্লি যায়। একটি জবলপুর-ইন্দোর-দিল্লি এবং অন্যটি দিল্লি-জবলপুর এবং জগদলপুরকে সংযুক্ত করে।
আরও পড়ুন: