নয়াদিল্লি, 7 ফেব্রুয়ারি: গতবছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম মাসে আমিষভোজীদের থেকে নিরামিষভোজীদের পকেটের উপর বেশি চাপ পড়েছে। ক্রিসিল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিকস রিসার্চ নামে একটি সংস্থার রিপোর্ট থেকে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাসের খাবারের খরচের হিসেব অনুসারে, বাড়িতে রান্না করা নিরামিষ থালির দাম জানুয়ারিতে 5 শতাংশ বেড়েছে। ঠিক সেখানেই আমিষ থালির দাম 13 শতাংশ কমেছে। সংস্থার দাবি, পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম যথাক্রমে 35 এবং 20 শতাংশ বৃদ্ধির কারণেই ভেজ থালির দাম বেড়েছে। চালের দাম (ভেজ থালির মোট খরচের 12 শতাংশ হিসেবে) এবং ডালের দাম (9 শতাংশ হিসাবে) এবছর যথাক্রমে 14 শতাংশ এবং 21 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে বেশ খানিকটা।
প্রসঙ্গত, সরকার মাত্র কয়েকদিন আগে চাল ব্যবসার ডিলার থেকে শুরু করে পরিবেশক-খুচরা বিক্রেতা এবং অন্য স্টেকহোল্ডারদের সাপ্তাহিক ভিত্তিতে চাল ও ধানের মজুত স্টক সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে বলেছিল। এই তথ্য হাতে থাকলে সরকারের পক্ষে শস্যের ক্রমবর্ধমান দামের উপর রাশ টানা তুলনায় সহজ হবে।
নন-ভেজ থালির দাম কমার একটা বড় কারণ হল ব্রয়লার মুরগির দাম বার্ষিক 26 শতাংশ কমে গিয়েছে ৷ আর তার উৎপাদনও বেড়েছে। এদিকে সরকার প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করার ফলে এবং প্রায় সব পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যে স্বাভাবিক বা তার চেয়ে বেশি ফলনের ফলে পেঁয়াজের দামও কমেছে। সরকার গত 7 ডিসেম্বর পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করার পর থেকে দুই মাসে পাইকারি দাম 80 শতাংশের বেশি কমেছে।
উল্লেখ্য বিষয় হল, বাড়িতে থালি তৈরির গড় খরচ উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম ভারতে থালি তৈরির দামের ভিত্তিতে গণনা করা হয়। চাল, ডালের মতো জিনিস, ব্রয়লার মুরগি, শাকসবজি, মশলা, ভোজ্যতেল এবং রান্নার গ্যাসের দামের উপর নির্ভর করে থালির দাম পরিবর্তিত হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরে থালির দাম কমলেও, বার্ষিক ভিত্তিতে ভেজ থালির দাম বেড়েছে 12 শতাংশ, আর আমিষ থালির দাম কমেছে 4 শতাংশ।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জিনিসের দাম বৃদ্ধির জেরে 2023 সালের অক্টোবরে বিভিন্ন থালির দাম বেড়েছিল। এমনকী অগস্ট-সেপ্টেম্বরে টমেটোর দাম প্রতি কেজি 250 টাকা পার করে যাওয়াতে, চড়েছিল খাবারের থালির দাম। তবে বর্তমানে টমেটোর দাম প্রতি কেজিতে রয়েছে 50 টাকার আশেপাশে। যা অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে মধ্যবিত্ত মানুষকে।
আরও পড়ুন: