কানপুর, 14 এপ্রিল: নাবালিকাকে চার মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে এক মৌলানাকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ গত চার মাস ধরে 14 বছরের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে মৌলানার বিরুদ্ধে। নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে পড়ায় বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত ওই কিশোরীকে গর্ভপাতের ওষুধ দেয়। ধীরে ধীরে গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে পুলিশের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার। ঈদের পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মেয়েটি ভয়ে ভয়ে গোটা বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানায় ৷ কীভাবে চার মাস ধরে মৌলানা মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করেছে তা সকলে জানতে পারে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভরতি করে ।
মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই মৌলানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং তাকে আটক করে হেফাজতে নেয় । অভিযুক্ত মৌলানা ওই নির্যাতিতার বাড়ির সামনে থাকেন। নির্যাতিতার দাবি, মৌলানা খাবারের প্রলভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি যখন গর্ভবতী হয়ে পড়ে, তখন অভিযুক্ত তাকে জোর করে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ায় ৷ এরপরই নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ।
কানপুরের দক্ষিণে নওবস্তা এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকার মা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী একজন দিনমজুর। তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে থাকেন । নির্যাতিতার পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভাল নয় ৷ তাই কিশোরীর প্রতিবেশীরা প্রায়ই তাদের খাবার দিয়ে যেতেন। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, তারা গরিব বলেই ওই মৌলানা প্রায় নাবালিকাকে খাবার দেওয়ার অজুহাতে নিজের বাড়িতে ডেকে নিতেন। তবে সেই সুযোগে অভিযুক্ত যে তাদের সন্তানকে ধর্ষণ করবে, তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি। নওবস্তা থানার ইনচার্জ জগদীশ পান্ডে জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্য ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে শীঘ্রই আদালতে পেশ করা হবে। তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: