হাথরস, 4 জুলাই: হাথরস পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু'জন মহিলা-সহ 6 জন সেবাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এই ঘটনার প্রধান আয়োজক বেদপ্রকাশ মধুকর পলাতক, জানিয়েছেন পুলিশের শীর্ষকর্তা ৷ এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 123 ৷
মঙ্গলবার বিকেল 3টে নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলায় একটি সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে ৷ এদিন প্রথম গ্রেফতারি নিয়ে আলিগড় রেঞ্জের আইজিপি শলভ মাথুর সাংবাদিকদের বলেন, "গ্রেফতার হওয়া ছ'জন ওই সৎসঙ্গে সেবাদার হিসেবে কাজ করতেন ৷ প্রধান আয়োজন বেদপ্রকাশ মধুকর পলাতক ৷ তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট জারি করা হবে ৷ পাশাপাশি কেউ তার সন্ধান দিতে পারলে সেই ব্যক্তিকে 1 লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হবে ৷"
তিনি আরও বলেন, "ওই আয়োজক সমিতির হুকুম সিং, মঞ্জু যাদব, মুকেশ কুমার, মঞ্জু দেবী-সহ 6 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ সৎসঙ্গের অনুষ্ঠান সব ব্যবস্থাপনা সামলানোর দায়িত্ব ছিল এদের উপর ৷ কিন্তু ভোলে বাবার চরণ ছোঁয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বহু মানুষ দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন ৷ আর তাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ৷ এই সময় এরা কোনও সহযোগিতা করেনি ৷"
তবে হাথরসের সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানালেন পুলিশের শীর্ষ কর্তা ৷ তিনি বলেন, "তদন্তের প্রয়োজনে ভোলে বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ কিন্তু এই মামলায় ভোলে বাবার নাম নেই ৷" তবে ভোলে বাবার অপরাধমূলক কাজকর্মের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ, জানিয়েছেন আইজিপি শলভ মাথুর ৷
এদিকে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার দিন থেকে উধাও মূল অভিযুক্ত প্রধান আয়োজক দেবপ্রকাশ মধুকর ৷ তিনি তো বাড়িমুখো হননি-ই, এমনকী তাঁর পরিবারের লোকজনও ছদ্মবেশে পালিয়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধুকর জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করতেন ৷ তিনি নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবা ওরফে সুরজ পালের ভক্ত ছিলেন ৷
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদসংস্থার তরফে মধুকরের সিকন্দর রাউ এলাকার বাড়িতে গেলে সেখানে তালা ঝুলতে দেখা যায় ৷ এই এলাকাটি দলিত অধ্যুষিত ৷ পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেই ফুলরাই গ্রাম থেকে এর দূরত্ব মাত্র 5 মিনিটের ৷