হাপুর, 19 মে: বেলচা দিয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করলেন মদ্যপ স্বামী ৷ স্ত্রীকে হত্যা করার পর তাঁর দেহের পাশেই তিনি শুয়ে থাকলেন সারারাত ৷ সকালে বারবার ফোন করেও তাঁর সাড়া মেলেনি ৷ গ্রামবাসীরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে মেঝের উপর ৷ আর তাঁর পাশেই বসে আছেন ওই মহিলার স্বামী ৷ এই দেখে গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেন ৷ পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে ৷
উত্তরপ্রদেশের পিলখুয়া কোতোয়ালি এলাকার একটি গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা ৷ পিলখুয়ার সিও জিতেন্দ্র কুমার শর্মা জানান, আনোয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা মহেশ দিনমজুরের কাজ করতেন । তিনি 2012 সালের 17 জুন গুলাবতীর বাসিন্দা শীতলকে বিয়ে করেন । মহেশ ছিলেন মদ্যপানে আসক্ত । এই নিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদিনই ঝগড়া লেগে থাকত ৷
শনিবার রাতে মহেশ মদ্যপান করে বাড়িতে এলে তার প্রতিবাদ করতে থাকেন শীতল । স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা থেকে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি ৷ তখনই বেজায় ক্ষেপে গিয়ে মহেশ ঘরে রাখা একটি বেলচা তুলে নিয়ে তা দিয়ে শীতলের মাথায় আঘাত করেন । গুরুতর আহত হন শীতল ৷ তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ মদ্যপ মহেশ কিছুই ঠাহর করতে পারেননি ৷ সারারাত তিনি মৃতদেহের সঙ্গেই শুয়েছিলেন ৷ রবিবার সকালে বাড়িতে কোনও আওয়াজ না-পেয়ে প্রতিবেশীরা কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করেন । ঘরের দরজায় ভিতর থেকে তালা দেওয়া ছিল ৷ তাই বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোনও সাড়া মেলেনি ৷ কিছুক্ষণ পর গ্রামবাসী দরজা ভেঙে দেন । তখনই এই কাণ্ড দেখতে পেয়ে চমকে যান প্রতিবেশীরা ৷
প্রতিবেশীরা ভেতরে গিয়ে দেখেন, সেখানে শীতলের দেহ পড়ে রয়েছে । মহেশ কাছেই বসে ছিলেন । গ্রামবাসীরা বিষয়টি পুলিশকে জানান । কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ । অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মহেশ নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন ৷ তিনি জানান, ভুলবশত স্ত্রীকে খুন করে ফেলেছেন ।
সিও জানান, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । অভিযুক্ত মদ্যপানে আসক্ত । স্ত্রীর আচরণেও সন্দেহ প্রকাশ করেন অভিযুক্ত । পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে । গ্রামবাসী নগেন্দ্র সিং তোমর বলেন, "মহেশের অভ্যেস ভালো নয় । শীতলই পরিশ্রম করে সংসার চালাতেন । স্বামী ছাড়াও শাশুড়ির দেখাশোনা করতেন ।"
আরও পড়ুন: