নয়াদিল্লি, 28 জুন: রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরদিনই নিট ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা ও রাজ্যসভা। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে 1 জুলাই পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি করে দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা ৷ একাধিকবার মুলতুবি হয়েছে রাজ্যসভাও ৷ তারমধ্যেই নিট বিতর্কে ফের মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ৷
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘সরকার আলোচনার জন্য প্রস্তুত ৷ তবে এটি সুষ্ঠু এবং সঠিকভাবে হওয়া উচিত। গতকাল যখন রাষ্ট্রপতি নিজেই তাঁর বক্তৃতায় এই সমস্যাটি সম্বোধন করেছিলেন, তখন বোঝা যায় যে সরকার যেকোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত । আমি প্রত্যেককে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা দোষীদের রেহাই দেব না ।’’
#WATCH | On protest by opposition MPs in Parliament over the NEET issue, Union Education Minister Dharmendra Pradhan says, " ...we are not going to spare anyone. those who were in charge of nta have been removed and the responsibility has been given to senior officials. all this… https://t.co/E1Tqq262Sh pic.twitter.com/fHjasRXdNQ
— ANI (@ANI) June 28, 2024
তাঁর কথায়, ইতিমধ্যেই সরকার এনটিএ (ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি) চেয়ারপার্সনকে সরিয়ে দিয়েছে ৷ তাঁর বদলে অভিজ্ঞ অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ যা থেকে স্পষ্ট, সরকার বেনিয়ম বরদাস্ত করবে ৷ এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না ৷
বিরোধীদের দাবি, এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জ্বলন্ত ইস্যু নিট। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের আগে এই বিষয়ে আলোচনা করুক সরকার ৷ তা নিয়েই উত্তাল হয়ে উঠেছে সংসদ ৷ সরকারের সঙ্গে সংসদে সরাসরি নিট সংক্রান্ত আলোচনা করতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ৷ পালটা সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু, রাজ্যসভার দলনেতা জেপি নাড্ডারা জানিয়েছিলেন, সরকার আলোচনা করতে প্রস্তুত ৷ কিন্তু যে আচরণ বিরোধীরা করছেন, তা সংসদে অনভিপ্রেত ৷
প্রসঙ্গত, 2024 সালের নিট-ইউজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ 5 মে দেশের 4 হাজার 750টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৷ প্রায় 24 লক্ষ পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেয় । নিট পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগে কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকার ও এনটিএ’কে জানিয়েছিল, পরীক্ষায় সামান্য বেনিয়ম হলেও ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ 0.001 শতাংশ অনিয়ম হলেও ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ দুর্নীতিতে যুক্ত কেউ যেন ছাড় না পায় ৷ এর সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে ৷ তাঁদের স্বার্থই যেন সর্বাধিকার পায় ৷