মেরঠ, 6 ফেব্রুয়ারি: ভাগ্নির প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি ছিল মামা-মামির ৷ তাই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দম্পতির বিরুদ্ধে ৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের ভাবনপুর থানা এলাকার ছিলোরা গ্রামে ৷ তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত দম্পতিকে ৷
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম তিশা (21) ৷ এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল সে ৷ দু'জনে বেশ কিছুদিন বাড়ি থেকে নিঁখোজ হয়ে যান ৷ যদিও পরে বাড়ির লোক উদ্ধার করেন যুগলকে ৷ তিশার এই আচরণেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মামা-মামি ৷ প্রথমে তিশাকে বাড়িতে এনে শ্বাসরোধ করে খুন করে ৷ তারপর দেহ গ্রামের বাইরে ঘুটের স্তূপে রেখে রবিবার গভীর রাতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় । এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা । পুলিশ চিরাউলা ঔরঙ্গাবাদ সড়কের পাশ থেকে মেয়েটির অর্ধ-দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে।
এসপি দেহাত কমলেশ বাহাদুর বলেন, "জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, গত রবিবার তিশার মামা সোনু ও মামি পুণম ছিলোরায় নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁকে । রাতে অনেক বোঝান তাঁরা তিশাকে ৷ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলা হয় ৷ তবে তাঁদের কোনও কথাই শুনতে রাজি হননি তিশা । এরপরেই সোনু রাতে মদ্যপান করার পর তিশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন । এরপর প্রমাণ নষ্টের জন্য দেহটি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় । তিশা এক যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন । বিষয়টি নিয়ে তিশার পরিবারের সদস্যরা বেশ অস্বস্তিতে ছিল । যার জেরে বাড়িতে বাগবিতণ্ডা চলছিল ।"
পুলিশ জানিয়েছে, তিশার মামা সোনু জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে তিনি ভাগ্নিকে খুন করেছেন ৷ তাঁর পরিকল্পনা ছিল, দেহ পুড়়ে ছাই হয়ে যাবে তখন তিনি তিশার প্রেমিকের বিরুদ্ধে তাঁকে অপহরণ করার অভিযোগ করবেন । তবে সেই পরিকল্পনায় বাঁধ সাধে বৃষ্টি ৷ খারাপ আবহাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে তিশার শরীর পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়নি ৷ পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাস্থলে একটি সন্দেহজনক গাড়ি আসতে দেখে ৷ যার নম্বর খতিয়ে দেখে রহস্যের উদঘাটন হয় ।
আরও পড়ুন: