তিরুপতি, 25 জুলাই: বউদি ও দুই ভাইঝিকে খুনের পর আত্মঘাতী হলেন এক যুবক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে তিরুপতির পদ্মাবতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পদ্মাবতী নগরে ৷ তিনজনকে খুনের পর যিনি আত্মহত্যা করেছেন, তাঁর নাম মোহন ৷ তিনি চেন্নাইয়ে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করতেন ৷ তিনি যে তিনজনকে খুন করেছেন, তাঁদের নাম সুনীতা এবং দেবীশ্রী ও নীরজা ৷ সুনীতা মোহনের বড়দার স্ত্রী ৷
পরে তিরুপতি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ৷ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে যে নিহত সুনীতার স্বামীর নাম টিপি দাশু ৷ তিনি পরিবার নিয়ে তিরুপতির পদ্মাবতী নগরে একটি বাড়িতে থাকতেন ৷ দাশুর ছোট ভাই মোহন (35) ৷ মোহন 2019 সালে বিয়ে করেন । 2020 সালে তাঁর ডিভোর্স হয় ৷ মোহন সম্প্রতি ফের বিয়ে করেন । কিন্তু সেই মেয়েটিও মোহনকে ছেড়ে চলে যান । এই কারণে মোহন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বুধবার সন্ধ্যায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে মদ্যপান করেন মোহন । এর পর দাশু ঘর থেকে বেরিয়ে যান । সেই সময় দাশুর মেয়ে দেবীশ্রী (13), নীরজা (10) ও স্ত্রী সুনীতা (40) টিউশন থেকে বাড়িতে ফেরেন ৷ তখনই ওই তিনজনের উপর নির্বিচারে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন মোহন । এর পর তিনি মৃতদেহগুলি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করেন । কিন্তু আশেপাশের লোকজন বাইরে ঘোরাঘুরি করায় তিনি ভয় পেয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ।
দাশু বাড়িতে এসে দেখেন ভিতর থেকে তালা দেওয়া ৷ অনেক ডাকাডাকির পর কাউকে না পেয়ে তালা ভেঙে তিনি ঘরে ঢোকেন ৷ তখনই তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ৷ তার পর অন্য ঘরে মোহনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি ৷ এর পর বিষয়টি সকলে জানতে পারেন ৷ খবর দেওয়া পুলিশকে ৷
পুলিশ এই এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি ৷ ফলে কী কারণে খুন সেই বিষয়টি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে মানসিক অবসাদ থেকেই এই ঘটনা ঘটতে পারে ৷ কিন্তু এর নেপথ্যে অন্য় কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷