নয়াদিল্লি, 7 মে: প্রজ্জ্বল রেভান্নার 'অশ্লীল ভিডিয়ো' কাণ্ড নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, এই ধরনের লোকেদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি নেওয়া উচিত এবং সমস্ত আইনি বিকল্প ব্যবহার করে তাদের 'কঠোর শাস্তি' দেওয়া উচিত ।
এই ইস্যুতে মঙ্গলবার কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, এই হাজার হাজার ভিডিয়ো একদিনের নয় । মোদির অভিযোগ, প্রজ্জ্বলকে দেশ থেকে পালানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে কংগ্রেস ৷ আর তিনি পালানোর পরই ভিডিয়োগুলি প্রকাশিত হওয়ায় কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদি ৷ সাসপেন্ড হওয়া জনতা দল-সেকুলার (জেডি-এস) নেতা তথা হাসান আসনের বর্তমান সাংসদ হলেন প্রজ্জ্বল রেভান্না । তিনি একই আসন থেকে এনডিএ প্রার্থী হিসাবে পুনঃনির্বাচন চাইছেন ।
26 এপ্রিল এই আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয় । টাইমস নাও-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "আমি স্পষ্ট মতামত দিচ্ছি যে, এই ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা থাকা উচিত । উপলব্ধ সমস্ত আইনি বিকল্প ব্যবহার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত ।"
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেছেন যে, এটি একটি আইনশৃঙ্খলার সমস্যা এবং রাজ্যে যে দলই সরকারে থাকুক না কেন, পদক্ষেপ না-করার জন্য তারাই দায়ী । মোদির কথায়, "এটি একটি আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা । বাংলায় এমন ঘটনা ঘটলে বাংলার সরকার দায়ী থাকবে । যদি গুজরাতে ঘটে থাকে, তাহলে গুজরাত সরকার দায়ী । যদি অন্ধ্রে ঘটে থাকে, তাহলে অন্ধ্র সরকার দায়ী । যদি এটি কর্ণাটকে ঘটে থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্ণাটক সরকার দায়ী হবে ৷"
প্রধানমন্ত্রী মোদি অভিযোগ করেছেন যে, যখন কংগ্রেস রাজ্যে জেডি (এস)-এর সঙ্গে জোটে ক্ষমতায় ছিল, তখনই ভিডিয়োগুলি রেকর্ড করা হয়েছিল এবং দ্বিতীয় পর্বে ভোক্কালিগা ভোটাররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পরে ভিডিয়োগুলি প্রকাশ পায় ।"
তিনি আরও বলেন, "তাঁকে দেশের বাইরে পাঠানোর পর ভিডিয়োগুলো প্রকাশ করা হয়েছে । আপনি তাঁকে রাজ্য থেকে যেতে দিয়েছেন । এটা খুবই সন্দেহজনক ৷" এইচডি রেভান্না এবং তাঁর ছেলে প্রজওয়াল রেভান্না তাঁদের গৃহে কাজ করা একজন মহিলার অভিযোগের পরে যৌন হয়রানি এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অভিযোগে কর্ণাটক সরকার গঠিত একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি)-এর তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন ।
এইচডি রেভান্না 'অশ্লীল ভিডিয়ো মামলা'র সঙ্গে যুক্ত একটি অপহরণ মামলায় 8 মে পর্যন্ত সিটের হেফাজতে রয়েছেন ৷ আর প্রজ্জ্বল রেভান্না অন্য দেশে পালিয়ে গিয়েছেন । কর্ণাটকের 28টি লোকসভা আসনের জন্য ভোট হচ্ছে দুই দফায় । 26 এপ্রিল 14টি আসনে ভোট হয়েছে, বাকি 14টি আসনে 7 মে ভোটগ্রহণ । ভোট গণনা 4 জুন নির্ধারিত হয়েছে ।
2019 সালের নির্বাচনে বিজেপি 28টি আসনের মধ্যে 25টিতেই জিতেছিল ৷ কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট শুধুমাত্র একটি করে আসন জেতে ৷
আরও পড়ুন: