অযোধ্যা, 30 অগস্ট: আবারও নৃশংসতার সাক্ষী উত্তরপ্রদেশ ! যোগীরাজ্যে ফের প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা। অযোধ্যায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় ৷ কিন্তু ওই কিশোরীকে এমনভাবে খুন করা হয়েছে যা শুনলে হাড়হিম হয়ে উঠবে ৷ ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর তার শরীরে কেমিক্যাল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা পর্যন্ত করা হয় ৷ মৃতদেহ অর্ধেক পোড়ে ৷ আধপোড়া দেহ যাতে চেনাও না যায় তার জন্য নাবালিকার মাথা দেহ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয় ৷ অর্ধেক পুড়ে যাওয়া দেহটি ফেলেও দেওয়া আবর্জনার স্তূপে ৷
যাতে ধরা না-পড়তে হয় তার জন্য মেয়েটির মৃতদেহ গলিয়ে দিতে রাসায়নিকও ব্যবহার করে ধর্ষক ৷ অযোধ্যা জেলার গোসাইগঞ্জ রেলস্টেশনের পুরনো আবর্জনাস্তূপ থেকে ওই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ পোশাক এবং অন্য জিনিসপত্রের সাহায্যে মেয়েটির পরিচয়ও জানা যায়। অযোধ্যা পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির দেহের অর্ধেক অংশ পচে গিয়েছে। কোনও রাসায়নিক দিয়ে তার দেহ গলানোর চেষ্টা হয়েছে। নাবালিকার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
স্থানীয় পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অতুল সোনকার বলেন, "পুলিশ পুঙ্খনাপুঙ্খ তদন্ত শুরু করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ফরেনসিক দলের তদন্তের পরই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে।" পুলিশ এও জানিয়েছে, আম্বেদকর নগরের আকবরপুর কোতোয়ালি এলাকার কনক পট্টি দশমধে বাড়ি মেয়েটির ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মা গোসাইগঞ্জ থানায় পৌঁছে জানান, তাঁর কাছে একটি ফোন আসে ৷ ফোনে এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, গোসাইগঞ্জ স্টেশনের কাছে তাঁর মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে। তারপরই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷
অযোধ্যা থানার ইনচার্জ পরশুরাম ওঝা বলেন, "মহিলার কাছ থেকে আমরা খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই ৷ সেখানে অনেকক্ষণ খোঁজাখুজির পর কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয় ৷ দেখে মনে হয়েছে ঘটনাটি অন্য কোথাও ঘটেছে। যে ব্যক্তি ওই মহিলাকে ফোন করে তথ্য দিয়েছে তাঁকে খুঁজে বের করা হচ্ছে। ডিএনএ রিপোর্ট পেলেই তদন্তের গতি আরও এগোবে ৷