বাঙ্কা(বিহার), 25 ফেব্রুয়ারি: ব্যাগ থেকে খোয়া গিয়েছে 35 টাকা ৷ আর সেই 35 টাকা ফেরত পেতে ছোট ছোট পড়ুয়াদের নিয়ে মন্দিরে গিয়ে শপথ করালেন শিক্ষিকা ৷ পরে ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা ৷ শেষমেশ শিক্ষিকাকে স্কুল থেকে অপসারণ করতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে 21 ফেব্রুয়ারি বিহারের রাজউন ব্লকের আসমানিচক গ্রামের একটি স্কুলে ৷
শিক্ষিকার দাবি, "আমি সব বাচ্চাদের কাছে আমার পার্স থেকে টাকা গায়েব হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম । আমি বাচ্চাদের মন্দিরে নিয়ে যাইনি, তারা নিজেরাই মন্দিরে শপথ নিতে গিয়েছিল । আমি এখানে বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকতা করছি, আমার বিরুদ্ধে শিশুদের সন্দেহ করার অভিযোগ আনা হয়েছে ৷ এটা ঠিক নয় ৷ আমি মানুষের আচরণে আঘাত পেয়েছি ।"
জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার দাবি অনুযায়ী স্কুলে এসে তাঁর ব্যাগ থেকে 35 টাকা খোয়া যায় ৷ এরপরেই তিনি সন্দেহ করেন টাকাটা পড়ুয়ারা নিয়েছে ৷ সে সময় স্কুলে 105 জন পডুয়া ছিলেন ৷ তিনি সকল পড়ুয়ার পকেট তল্লাশি করেন ৷ কিন্তু টাকা না-মেলায় তিনি ক্ষুব্ধ হন ৷ তারপর টাকা ফিরে পেতে স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে পাশের দুর্গা মন্দিরে যান ৷ বাচ্চাদের টাকার বিষয়ে সেখানে শপথ করান ।
শিশুদের অভিভাবকরা বিষয়টি জানতে পেরে স্কুলে এসে জড়ো হন এবং প্রতিবাদ করেন। ওই শিক্ষিকার স্কুল থেকে অপসারণের দাবিও তোলেন তারা। এরপর বিআরপি সঞ্জয় ঝা বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে ময়দানে নামেন ৷ তাঁর কোনও কথা শুনতে রাজি ছিলেন না অভিভাবকরা । পরে ওই শিক্ষিকাকে অপসারণের আশ্বাস দিলেই বিষয়টি শান্ত হয় । বর্তমানে ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয় থেকে অপসারণ করে পরিবর্তে অন্য শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে । ব্লক শিক্ষা আধিকারিক পঙ্কজ কুমার বলেন, "শিক্ষিকার এই আচরণ ঠিক নয়, শিক্ষার্থীদের সন্দেহ করা ঠিক হয়নি ৷ তাই শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে ।"
আরও পড়ুন: