ETV Bharat / bharat

সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুসলিম লিগ, শুনানি মঙ্গলে

Supreme Court on CAA: কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ বা আইইউএমএল ৷

ETV Bharat
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আইইউএমএল
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 15, 2024, 12:09 PM IST

Updated : Mar 15, 2024, 1:50 PM IST

নয়াদিল্লি, 15 মার্চ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দায়ের হওয়া মামলা গৃহীত হল দেশের শীর্ষ আদালতে ৷ 11 মার্চ, সোমবার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে দেশজুড়ে এই সিএএ কার্যকর করার কথা ঘোষণা করে বিজেপি সরকার ৷ এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা এবং আইনের আওতায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ৷ তাই এই আইন লাগু হওয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে 12 মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ বা আইইউএমএল ৷

শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই মামলার শুনানির আবেদন গ্রহণ করে ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আইইউএমএল পক্ষের প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবালকে বলেন, "আমরা মঙ্গলবার এই মামলাটি শুনব ৷ 190টিরও বেশি মামলা রয়েছে ৷ সব মামলাগুলিই শোনা হবে ৷" আগামী 19 মার্চ, মঙ্গলবার 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ নিয়ে করা মামলার শুনানি হবে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সিএএ নিয়ে 237টি আবেদন জমা পড়েছে ৷ এদের মধ্যে 4টি সিএএ কার্যকর করার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে ৷

এই আইনে কী বলা হয়েছে ? তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র- পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে সময়ে সময়ে বহু অ-মুসলিম শরণার্থী হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা ভারতে এসেছে ৷ 2014 সালের 31 ডিসেম্বর তারিখের আগে যাঁরা এই তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করাই 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের উদ্দেশ্য, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

2019 সালের ডিসেম্বরে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাশ হয় সংসদে ৷ পরের বছর জানুয়ারিতেই এই বিল আইনে পরিণত হয় ৷ তবে চার বছরেরও বেশি সময় পরে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে এই আইন কার্যকর করে বিজেপি সরকার ৷ এতে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলে ৷ পাশাপাশি দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কীভাবে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে, সে বিষয়েও প্রশ্ন করে বিরোধী দলগুলি ৷

যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বারবার আশ্বাস দিয়েছেন, এই আইনে মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না ৷ কারও নাগরিকত্ব যাবে না ৷ বরং, অনুপ্রবেশ রুখতে এই ব্যবস্থা ৷ তবে সিএএ আইন লাগু করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একই কথা জানিয়েছে তামিলনাড়ু ও কেরল সরকারও ৷

আরও পড়ুন:

  1. 'সংবিধানে রয়েছে, নাগরিকত্ব আইন কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়', সাফ বার্তা শাহের
  2. 'ধর্ম ঠিক করবে কে অনুপ্রবেশকারী আর কে শরণার্থী ?', শাহকে কড়া আক্রমণ তৃণমূলের সাগরিকার
  3. দেশজুড়ে লাগু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আবেদন কীভাবে ? যোগ্য কারা ? রইল বিস্তারিত

নয়াদিল্লি, 15 মার্চ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দায়ের হওয়া মামলা গৃহীত হল দেশের শীর্ষ আদালতে ৷ 11 মার্চ, সোমবার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে দেশজুড়ে এই সিএএ কার্যকর করার কথা ঘোষণা করে বিজেপি সরকার ৷ এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা এবং আইনের আওতায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ৷ তাই এই আইন লাগু হওয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে 12 মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ বা আইইউএমএল ৷

শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই মামলার শুনানির আবেদন গ্রহণ করে ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আইইউএমএল পক্ষের প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবালকে বলেন, "আমরা মঙ্গলবার এই মামলাটি শুনব ৷ 190টিরও বেশি মামলা রয়েছে ৷ সব মামলাগুলিই শোনা হবে ৷" আগামী 19 মার্চ, মঙ্গলবার 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ নিয়ে করা মামলার শুনানি হবে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সিএএ নিয়ে 237টি আবেদন জমা পড়েছে ৷ এদের মধ্যে 4টি সিএএ কার্যকর করার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে ৷

এই আইনে কী বলা হয়েছে ? তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র- পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে সময়ে সময়ে বহু অ-মুসলিম শরণার্থী হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা ভারতে এসেছে ৷ 2014 সালের 31 ডিসেম্বর তারিখের আগে যাঁরা এই তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করাই 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের উদ্দেশ্য, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

2019 সালের ডিসেম্বরে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাশ হয় সংসদে ৷ পরের বছর জানুয়ারিতেই এই বিল আইনে পরিণত হয় ৷ তবে চার বছরেরও বেশি সময় পরে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে এই আইন কার্যকর করে বিজেপি সরকার ৷ এতে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলে ৷ পাশাপাশি দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কীভাবে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে, সে বিষয়েও প্রশ্ন করে বিরোধী দলগুলি ৷

যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বারবার আশ্বাস দিয়েছেন, এই আইনে মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না ৷ কারও নাগরিকত্ব যাবে না ৷ বরং, অনুপ্রবেশ রুখতে এই ব্যবস্থা ৷ তবে সিএএ আইন লাগু করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একই কথা জানিয়েছে তামিলনাড়ু ও কেরল সরকারও ৷

আরও পড়ুন:

  1. 'সংবিধানে রয়েছে, নাগরিকত্ব আইন কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়', সাফ বার্তা শাহের
  2. 'ধর্ম ঠিক করবে কে অনুপ্রবেশকারী আর কে শরণার্থী ?', শাহকে কড়া আক্রমণ তৃণমূলের সাগরিকার
  3. দেশজুড়ে লাগু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আবেদন কীভাবে ? যোগ্য কারা ? রইল বিস্তারিত
Last Updated : Mar 15, 2024, 1:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.