নয়াদিল্লি, 10 এপ্রিল: বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বাবা রামদেব এবং পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণকে সংস্থার বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের কারণে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছে ৷ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের দাবি করে যে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিয়েছিল পতঞ্জলি, সে বিষয়ে দায়ের করা মামলায় রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণর ফের নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে দায়ের করা হলফনামা প্রত্যাখ্যান করেছে শীর্ষ আদালত।
বুধবার একটি হলফনামার আকারে দ্বিতীয়বারের জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন পতঞ্জলি কর্তা বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ। তবে এবারেও তাঁদের ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ কড়া ভাষায় জানিয়েছে, আদালত অন্ধ নয় ৷ রামদেব এবং বালকৃষ্ণের আইনজীবী মুকুল রোহতগিকে শীর্ষ আদালত জানায়, তাদের এই ক্ষমা চাওয়া বিশ্বাসযোগ্য নয়। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের মত, তাঁরা এই মামলা প্রক্রিয়াটিকে খুব হালকাভাবে নিচ্ছেন এবং আদালতে জমা দেওয়া নথিগুলিও মিথ্যাচারেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
‘বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন’ মামলায় বারংবার আদালতে ভর্ৎসিত হয়েছেন যোগগুরু রামদেব। প্রসঙ্গত, 2023 সালের নভেম্বরে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন৷ আইএমএ'র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে এবং অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে যা যা বলা হয়েছে তা মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর। ওই মামলায় পতঞ্জলির ব্যাপক হারে বিক্রি হওয়া পণ্য করোনিল কিটের কথাও উল্লেখ করা হয়, যেটি করোনা-প্রতিরোধকারী বলে প্রচার করে সংস্থা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এই করোনিল ওষুধটি আদৌ কোভিড প্রতিরোধী নয়। অথচ এমন দাবি করে 250 কোটি টাকার ব্যবসা করেছে পতঞ্জলি। সব মিলিয়ে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনে সাধারণ মানুষকে মিথ্যে বলে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে৷
আরও পড়ুন: