কোটা, 24 জানুয়ারি: উত্তরপ্রদেশের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু রাজস্থানের কোটায় ৷ মঙ্গলবার রাত সাড়ে 9টা নাগাদ হস্টেলে ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ছাত্রকে ৷ মোরাদাবাদের বাসিন্দা ওই ছাত্র কোটার একটি কোচিং ইনস্টিটিউট থেকে মেডিক্যাল এন্ট্রান্সের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ নাম মহম্মদ জায়েদ। বয়স 18 বছর ৷ কোটার নিউ রাজীব গান্ধি নগরের কাঞ্চন রেসিডেন্সিতে থাকতেন তিনি ৷
জওহর নগর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "মঙ্গলবার রাত সাড়ে 9টা নাগাদ নিউ রাজীব গান্ধি নগরের কাঞ্চন রেসিডেন্সিতে থাকা ওই ছাত্র ঘরে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন ৷ তাঁর বন্ধুরা ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে দরজা খোলেননি ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ দরজা খুলতেই দেখা যায় মৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছেন মহম্মদ জায়েদ ৷" প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আত্মহত্যা বলে মনে করলেও, ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি ৷
ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "মহম্মদ জায়েদের গ্রামের কয়েকজন ছাত্রও এখানে পড়াশোনা করেন এবং তাঁরা এই হস্টেলে একসঙ্গে থাকতেন ৷ জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর বন্ধুরা জানিয়েছেন, জায়েদ রাত জেগে পড়াশোনা করতেন ৷ আর ঘুমাতেন অথবা হাঁটতে যেতেন ৷ সন্ধ্যাবেলা তাঁরা হস্টেলে ফিরে মহম্মদ জায়েদকে ফোন করেন ৷ কিন্তু, ফোন ধরেননি তিনি ৷ এরপর তাঁরা দরজা ধাক্কা দেন ৷ কিন্তু, তাতেও দরজা না-খোলায় জানালা দিয়ে উঁকি দেন জায়েদের বন্ধুরা ৷ তাঁরা দেখেন ঘরের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই ছাত্র ৷
দ্রুত বাকি হস্টেলের সুপার এবং পুলিশকে খবর দেন ৷ পুলিশ দরজা খুলে মহম্মদ জায়েদের দেহ উদ্ধার করে ৷ দেহ আপাতত হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে ৷ পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে ৷ মৃত পড়ুয়ার কাকা ইতিমধ্যেই শহরে চলে এসেছেন ৷ পরিবারের বাকিরা এলে সরকারি নিয়ম মেনে দেহের ময়নাতদন্ত হবে ৷ তারপরই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৷
এই ঘটনায় কোটার ডেপুটি পুলিশ সুপার ভবানী সিং বলেন, "জায়েদের ঘরে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি ৷ কয়েকদিনের মধ্যে মহম্মদ জায়েদের মেডিক্যাল এন্ট্রান্সের পরীক্ষা ছিল ৷ সম্ভবত সেই কারণে তিনি মানসিক চাপে ছিলেন ৷ এই ছাত্র দ্বাদশের পরীক্ষার পর এনইইটি স্নাতকের জন্য দ্বিতীয়বার চেষ্টা করছিলেন ৷"
অভিযোগ উঠেছে ওই হস্টেলে কোনও আত্মহত্যা প্রতিরোধকারী ব্যবস্থাই ছিল না ৷ রাজস্থান সরকারের তরফে এ নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা প্রতিটি হস্টেলের জন্য জারি করা হয়েছে ৷ এ নিয়ে ডেপুটি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, জেলাশাসকের নেতৃত্বে থাকা আত্মহত্যা প্রতিরোধ কমিটিকে চিঠি লেখা হবে ৷ সেই মতো হস্টেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন: