নয়াদিল্লি, 28 জানুয়ারি: দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রধান স্তম্ভ সুপ্রিম কোর্ট ৷ আজ তার প্রতিষ্ঠার 75তম বর্ষ পালিত হচ্ছে ৷ সুপ্রিম কোর্টের হীরক জয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ যেখানে তিনি মন্তব্য করেন, শক্তিশালী বিচার ব্যবস্থা উন্নত ভারতের মূল ভিত্তি ৷ তিনটি ঔপনিবেশিক যুগের ফৌজদারি আইনে বদল আনার মধ্য দিয়ে দেশের আইনি, পুলিশ ও তদন্ত ব্যবস্থাগুলি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বলেও উল্লেখ করেছেন মোদি ৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ঔপনিবেশিক যুগের ফৌজদারি আইন বাতিল করে, সরকার ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়মের ব্যবস্থা চালু করেছে ৷ এই পরিবর্তনগুলির কারণে, আমাদের আইন, পুলিশি ও তদন্ত ব্যবস্থা একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে ৷ এটা অনেক বড় একটা পরিবর্তন ৷ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেখানে শত শত বছরের পুরনো আইন থেকে সহজে নতুন আইনের পথে আসা যায় । আর তার জন্য সকল সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ এক্ষেত্রে আমি সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন সকল সরকারি সংস্থার এই বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় এগিয়ে এসে সহযোগিতা করে ৷"
এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, "শক্তিশালী বিচার ব্যবস্থা উন্নত ভারতের প্রধান ভিত্তি ৷ পুরনো আইনের বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম আনা হয়েছে ৷" শেষ শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই তিনটি সংশোধনী পেশ করেন সংসদের দুই কক্ষে ৷ বিরোধী শূন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় সরকার বিনা বাধায় সংশোধনীগুলি পাশ করিয়ে নেয় ৷ মোদি এদিন উল্লেখ করেন, বর্তমানে সাধারণ মানুষ খুব সহজে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন ৷ এর জন্য সুপ্রিম কোর্টের ব্যবস্থাপনাকে ধন্যবাদ ৷ সাধারণ মানুষের বিচারের আর্জির জন্য সুপ্রিম কোর্ট তার নিয়মে শিথিলতা এনেছে ৷ এর জন্য সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি ৷
আরও পড়ুন: