হায়দরাবাদ, 10 ফেব্রুয়ারি: অন্তর্বর্তী বাজেটে কেন্দ্রের তরফে 1 লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট খাতে ৷ যা ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকবড় প্রাপ্তি ৷ আর এক্ষেত্রে বেসরকারি সেক্টরগুলিকে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে সুদের হার 'যৎ সামান্য বা শূন্য' করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ তবে, সেটা শুধুমাত্র রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের 'সানরাইজ সেক্টরে' বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই এই ছাড় পাবে বেসরকারি সংস্থাগুলি ৷ তবে, এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টে সরকারের এই বরাদ্দ নির্দিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রককে উদ্দেশ্য করে নির্ধারণ করা হয়েছে, নাকি গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উৎসাহ দিতে এই বরাদ্দ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্র ৷
এটি একটি স্বাগত জানানোর মতো বিষয় ৷ তবে, এক্ষেত্রে কীভাবে এই বাজেট বাস্তবায়িত হবে তা দেখার বিষয় ৷ এক্ষেত্রে একাধিক সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তবে, এর সুবিধা কারা পাবে ও এর প্রয়োগ কীভাবে হবে, এ নিয়ে কোনও আলোচনার কথা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি ৷ এমনকি কোন কোন মন্ত্রক এর সঙ্গে জুড়বে তাও অজানা ৷ তবে, একটা জিনিস খুবই ভালো যে, এখানে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রই রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের জন্য বিনিয়োগ করতে পারবে ৷
উন্নত দেশগুলির তুলনায় সামগ্রিক জিডিপির নিরিখে ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টে বরাদ্দের পরিমাণ অনেক কম ৷ আর এটি শিল্প সংস্থা ন্যাসকমের একটি দীর্ঘ দিনের প্রশ্ন ৷ ভারতের ক্ষেত্রে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টে খরচ সবসময় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই কম থাকে ৷ আর এই তথ্য দিয়েছে স্বয়ং সরকারের নীতি নির্ধারণকারী 'নীতি আয়োগ' এবং ইনস্টিটিউট অফ কমপিটিটিভনেস ৷ উল্লেখ্য, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টে ভারতের জিডিপির হার 2008-09 সালে 0.8 শতাংশ ছিল ৷ সেখান থেকে 2017-18 সালে সেই হার কমে 0.7 শতাংশ হয়ে গিয়েছে ৷
তথ্য অনুযায়ী, 'ব্রিকস'-এর অন্যান্য সদস্য দেশগুলির তুলনা রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে ভারতের সর্বমোট খরচ অনেকটাই কম ৷ যেখানে ব্রাজিল 1.2 শতাংশ, রাশিয়া 1.1 শতাংশ, চিন 2 শতাংশের বেশি ও দক্ষিণ আমেরিকা 0.8 শতাংশ খরচ করে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে ৷ এক্ষেত্রে ব্রিকসের বাকি সদস্য দেশগুলির গড় বিনিয়োগের হার প্রায় 1.8 শতাংশ ৷
আরও পড়ুন: