বারাবাঁকি, 4 অক্টোবর: উচ্চ আয়ের জন্য অনেক ভারতীয় শ্রমিকই ইজরায়েলে গিয়েছেন ৷ আরও অনেকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৷ এদিকে ইজরায়েলের গাজার যুদ্ধ এখন মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও তাঁরা সেখানে রয়ে গিয়েছেন ৷ ওই শ্রমিকদের সূত্রে খবর, ইজরায়েল সরকার তাঁদের সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করছে ৷ সাইরেন বাজলেই সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকরা বাঙ্কারে ঢুকে আশ্রয় নিচ্ছেন ৷ ভারতে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন তাঁরা ৷
ভারত থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের ইজরায়েলে পাঠানো নিয়ে একটি চুক্তি হয় ভারত ও ইজরায়েল সরকারের মধ্যে ৷ ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ইজরায়েলের পিআইবি অর্থাৎ পপুলেশন, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড বর্ডার অথরিটির সঙ্গে চুক্তি করে ৷ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রথম দফায় কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক ইজরায়েলে যান ৷ স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রিনিওরশিপ নিশ্চিত করে জানিয়েছে, 5 হাজার 800 জন দক্ষ শ্রমিক ভারত থেকে সেখানে গিয়েছে ৷ এরপর আরও অনেক শ্রমিক যাবে ৷
উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি থেকে বহু তরুণ দক্ষ শ্রমিক ইজরায়েলে রয়েছেন ৷ তাই দুশ্চিন্তায় গ্রামবাসীরা ৷ শ্রমিকদের পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা সেখানে নিরাপদে রয়েছেন ৷ প্রতিদিন ফোনে কথা হচ্ছে ৷ দেবাং থানা এলাকার সালেহনগর গ্রামের প্রধান রাজেন্দ্র জানান যে, গ্রাম থেকে 12 জনেরও বেশি তরুণ শ্রমিক ইজরায়েলে গিয়েছেন ৷ আরও অনেক তরুণ শ্রমিকের যাওয়ার কথা রয়েছে ৷ ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে ৷ এক গ্রামবাসী বিনোদ জানান, তাঁর ছেলে রাকেশ ইজরায়েলে গিয়েছেন ৷ 4 মাস আগে তাঁর সঙ্গে গ্রামের আরও কয়েকজন তরুণও ইজরায়েলে পাড়ি দিয়েছেন ৷ সেই সংখ্যাটা 10 জনেরও বেশি ৷
বিনোদ সিং জানান, মঙ্গলবার ইরান ইজরায়েলের উপর যে রকেট হামলা চালিয়েছে, তারপর তাঁর ছেলে বাড়িতে ফোন করেছিলেন ৷ ছেলে জানিয়েছেন, সবাই সুরক্ষিত আছে ৷ মঙ্গলবার ইরানের হামলার ভিডিয়ো করে ছেলে বাড়িতে দেখিয়েছে ৷ অ্যালাম বাজার পর এবং অ্যালার্ট জারি হলেই তাঁদের বাঙ্কারে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের সরকার তাঁদের খেয়াল রাখছে ৷ তাও উদ্বিগ্ন পরিবার ৷
আরেক গ্রামবাসী রাজু সিং জানান, তাঁর দাদার ছেলে রাম সিংয়ের ছেলে ললিত কুমার ইজরায়েলে রয়েছেন ৷ তাঁর সঙ্গে গ্রামের আরেক তরুণ প্রিন্স সিংও ৷ তাঁরা সবাই নিরাপদে রয়েছেন ৷ তা সত্ত্বেও বাড়ির লোকজন চিন্তা করছে ৷ প্রতিদিনই পরিবারের সঙ্গে তাঁদের ভিডিয়ো কলে কথা হচ্ছে ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, বোমা বা রকেট হামলার আগে সাইরেন বেজে ওঠে ৷ অ্যালার্ট মেসেজ আসে ৷ তড়িঘড়ি ভারতীয় তরুণ শ্রমিকরা প্রাণ বাঁচাতে কাছাকাছি বাঙ্কারে গিয়ে আশ্রয় নেন ৷