নয়াদিল্লি, 13 ফেব্রুয়ারি: ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল শরদ পাওয়ার শিবির ৷ যদিও এই পদক্ষেপের কথা গত সপ্তাহেই জানিয়ে রেখেছিলেন শরদ পাওয়ার ৷
কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে পিএ সাংমা ও তারিক আনোয়ারের সঙ্গে মিলে এনসিপি তৈরি করেছিলেন শরদ পাওয়ার ৷ তিনিই ওই দলের সভাপতি হন ৷ এখনও ওই পদেই রয়েছেন তিনি ৷ কিন্তু গত বছর জুনের শেষদিকে এনসিপি-তে বিদ্রোহ হয়৷ বিদ্রোহীদের নিয়ে শিবসেনা-বিজেপি সরকারে সামিল হন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার ৷ তিনি মহারাষ্ট্র সরকারে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন ৷
এর পরই দুই পক্ষ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় ৷ গত 6 ফেব্রুয়ারি এই নিয়ে রায় দেয় নির্বাচন কমিশন ৷ জানিয়ে দেয় যে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীই আসল এনসিপি ৷ তাই দলের নাম ও প্রতীক (ঘড়ি), দু’টোই এখন থেকে তারা ব্যবহার করতে পারবে ৷ শরদ পাওয়ার শিবিরকে 7 ফেব্রুয়ারি নতুন দলের নাম ও প্রতীক বেছে নেওয়ার জন্য জানায় কমিশন ৷ পরে জানা যায় যে শরদ পাওয়ার শিবিরের নতুন দলের নাম হতে চলেছে ‘ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি শরদ পাওয়ার’ ৷
এই নিয়ে হইচই পড়ে যায় দেশের রাজনীতিতে ৷ কারণ, যিনিই দলের প্রতিষ্ঠাতা তাঁর কাছ থেকে আসল দলের কৃতিত্ব চলে গেল বিদ্রোহীদের দিকে ৷ সামনেই লোকসভা নির্বাচন ৷ তার আগে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনেকের মত ৷ ফলে রাজনৈতিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে এনসিপির শরদ পাওয়ার শিবির ৷ আর সেই ধাক্কা সামলাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা ৷
যদিও কমিশনের সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্টে মামলা হতে পারে বলে আন্দাজ করেছিলেন অজিত পাওয়াররা ৷ তাই তাঁদের তরফে গত 7 ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট (অন্যপক্ষ মামলা করলে যাতে আদালত কোনও একতরফা সিদ্ধান্ত না নেয়, তাই আগেই আবেদন করা) দাখিল করা হয়েছে এই নিয়ে ৷ তবে কবে এই নিয়ে শুনানি হবে, তা জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন: