23 মার্চ, নয়াদিল্লি: 1931 সালে আজকের দিনে ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুকে ফাঁসির মঞ্চে উঠেছিলেন ৷ এই তিন স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে প্রতি বছর 23 মার্চ শহিদ দিবস পালিত হয় ৷ ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুর দিল্লির সঙ্গে একাধিক স্মৃতি জড়িয়ে আছে ৷ সেই স্মৃতির মধ্যে একটি হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ৷
খুব কম লোকই জানেন যে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুর খুব গভীর সম্পর্ক ছিল ৷ দিল্লি অ্যাসেম্বলিতে বোমা নিক্ষেপ করার ঘটনায়, বর্তমান দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিসের নীচে অবস্থিত বেসমেন্টে (তৎকালীন ভাইসরয়ের বাসভবন) বিচার চলাকালীন বেশ কয়েক দিন বন্দি রাখা হয়েছিল ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুকে ৷
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই বেসমেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে শহিদ ভগত সিং স্মৃতিসৌধ ৷ ভগৎ সিংয়ের কারাবাসের সময় একটি খাট, লণ্ঠন এবং একটি জলের জগ সেখানে ছিল ৷ বর্তমানে প্রতীকীভাবে একটি খাট-সহ অনেক জিনিস স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রিটিশদের হাতে বন্দি হওয়ার আগে, ভগৎ সিং 1923 সালে দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার খবর করতে সাংবাদিক হিসেবে এসেছিলেন ৷ তখন তিনি গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী সম্পাদিত পত্রিকা প্রতাপের হয়ে কাজ করতেন ৷ অনেক প্রবন্ধ ও বইয়ে এর উল্লেখ করা হয়েছে ৷
সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার সময় কাশ্মীরি গেটে অবস্থিত তৎকালীন বিখ্যাত রামনাথ স্টুডিওতে ছবি তুলিয়েছিলেন ৷ ছবিটি টুপি মাথা দিয়ে তোলা হয়েছিল ৷ ভগৎ সিংয়ের সেই টুপি পরা ছবি বর্তমানে অধিকাংশ জায়গায় দেখা যায় ৷ প্রতিবছর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ দিবস উপলক্ষে বেসমেন্টে থাকা শহিদ ভগত সিং স্মৃতিসৌধ খোলা হয় ৷ সেখানে তিন শহিদ ভগত সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুকে শ্রদ্ধা জানানো হয় ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক যোগেশ সিং এবছরও তিনজনের ছবিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ৷
আজকের দিনে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্যও এই বেসমেন্টের কারাগারটি খোলা হয় ৷ অধ্যাপক পিসি জোশী, যিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন, তিনি 2021 সালে এই সেলটি সংস্কার করান ৷ তিনিই এর নামকরণ করেছিলেন ভগৎ সিং মেমোরিয়াল ৷ এই স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক ৷
আরও পড়ুন: