লখনউ, 21 জানুয়ারি: কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে অযোধ্যা ৷ রামমন্দির উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে ৷ তাই রবিবার থেকে রাজধানী লখনউতে জারি হল 144 ধারা ৷ এর ফলে নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে অন্য কোথাও ধরনা, বিক্ষোভ করতে গেলে প্রশাসনের অনুমতি লাগবে ৷ অন্যদিকে 22 জানুয়ারি অযোধ্যার রাস্তাও আমজনতার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ মোতায়েন থাকবে 4 হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী ৷ এছাড়া লখনউয়ের 25টি সংবেদনশীল জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী সদা প্রস্তুত থাকবে ৷
অযোধ্যায় আজ থেকেই শুরু হয়েছে চেকিং ৷ অযোধ্যার হনুমানগড়ী মন্দিরের আশপাশে ঘুরছে অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড বা এটিএস ৷ কোনও রকম সন্দেহজনক কাজকর্ম চোখে পড়লেই সেই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করবে এটিএস ৷ লতামঙ্গেশকর চৌকে মোতায়েন রয়েছে ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স বা আরপিএফ ৷
-
#WATCH | Ayodhya: Rapid Action Force personnel deployed at Lata Mangeshkar Chowk as security tightens before the Pran Pratishtha ceremony tomorrow. pic.twitter.com/Yplu54RM6e
— ANI (@ANI) January 21, 2024 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">#WATCH | Ayodhya: Rapid Action Force personnel deployed at Lata Mangeshkar Chowk as security tightens before the Pran Pratishtha ceremony tomorrow. pic.twitter.com/Yplu54RM6e
— ANI (@ANI) January 21, 2024#WATCH | Ayodhya: Rapid Action Force personnel deployed at Lata Mangeshkar Chowk as security tightens before the Pran Pratishtha ceremony tomorrow. pic.twitter.com/Yplu54RM6e
— ANI (@ANI) January 21, 2024
লখনউয় পুলিশের অন্যতম শীর্ষ কর্তা উপেন্দ্র আগরওয়াল নির্দেশ দিয়েছেন, 22 জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন, 26 জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস, 25 জানুয়ারি হজরত আলীর জন্মদিন, 14 ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী, 24 ফেব্রুয়ারি সন্ত রবিদাস জয়ন্তী, 8 মার্চ মহাশিবরাত্রি রয়েছে ৷ এছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষাসূচিও আছে এই সময়ে ৷ এদিকে দেশে লোকসভা নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে ৷ তাই এমন সময় রাজনৈতিক দল, ভারতীয় কিষাণ সংগঠন ধরনা, বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে পারে ৷ এই পরিস্থিতিতে এলাকায় যেন শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় থাকে ৷ সেই কথা ভেবেই পুলিশ আধিকারিক উপেন্দ্র আগরওয়াল এলাকায় 144 ধারা জারি করেছেন ৷
এই নির্দেশের ফলে কোনও একটি জায়গায় পাঁচজনের বেশি মানুষ জড়ো হতে পারবেন না ৷ কোনও মিছিল, শোভাযাত্রা বের করতে গেলে পুলিশের অনুমতি লাগবে ৷ কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে লাউড স্পিকারে খুব জোরে কিছু বাজানো যাবে না ৷
কেউ খোলা জায়গায় বা বাড়ির ছাদে ইট, পাথক, সোডাওয়াটারের বোতল, দাহ্য পদার্থ অথবা কোনও বিস্ফোরক পদার্থ জমা করতে পারবে না৷ অথবা এমন কোনও জিনিসও রাখা যাবে না, যাতে আতঙ্ক তৈরি হয় ৷ এমনকী লখনউয়ের মধ্যে কোন ব্যক্তি চাইনিজ মাঞ্জা বিক্রি করতে পারবে না ৷ তার দিয়ে ঘুড়ি বেঁধে ওড়ানো যাবে না, এতে সাধারণ নাগরিকের শরীরের ক্ষতি হতে পারে, সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ৷
আরও পড়ুন: