নয়াদিল্লি, 14 মে: চলতি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ বিজেপি নেতারা বিদ্বেষমূলক ভাষণ দিচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে ৷ সেই মামলায় আবেদন করা হয় যে মোদি-সহ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশমকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট ৷ কিন্তু মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করতেই রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত ৷
ড. ইমানি অনন্ত সত্যনারায়ণ শর্মা ও অন্যদের দায়ের করা এই মামলার এ দিন শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে ৷ সেখানে আদালত জানিয়ে দেয় যে নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে তারা নির্দেশিকা জারি করবে না ৷
তবে আবেদনকারীদের আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে নির্বাচন কমিশন নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না ৷ তার পরও সুপ্রিম কোর্ট কোনও নির্দেশিকা এই নিয়ে জারি করতে রাজি হয়নি ৷ আবেদনকারীদের আইনজীবীরা চেয়েছিলেন যে আদালত জানাক যে আপাতত তারা এই আবেদন শুনতে চায় না ৷ কিন্তু আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ যে পরবর্তী নির্বাচনে এর থেকে খারাপ কিছু হতে পারে ৷
বিজেপির সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের দুটি পোস্টকে উল্লেখ করেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল ৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে জন প্রতিনিধিত্ব আইনের বলে ছ’বছরের জন্য নির্বাচন থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছিল ৷ পাশাপাশি ফতিমা নামে এক আবেদনকারী আদালতে জানান যে নির্বাচন কমিশনকে মোদির বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক ৷
কিন্তু আদালত আবেদনকারীদের প্রশ্ন করে, "আপনরা কি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ? আদেশের রিটের জন্য আপনাকে প্রথমে কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হবে ৷" তার পরই আদালত এই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দেন ৷ যদিও আবেদনকারীদের দাবি, মোদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনেকেই কমিশনে আবেদন করেছিলেন ৷ কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷
আরও পড়ুন: