নয়াদিল্লি, 16 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির বাসিন্দাদের গুরুতর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আদালত-নিয়ন্ত্রিত সিবিআই বা সিট তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে ৷ সেই মামলা পরীক্ষা করে দেখতে সম্মত হল শীর্ষ আদালত ৷
শুক্রবার আইনজীবী আলখ অলোক শ্রীবাস্তবের দায়ের করা আবেদনটি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের সামনে জরুরি তালিকার জন্য উল্লেখ করা হয়েছিল । প্রধান বিচরপতি এজলাসে হাজির হয়ে শ্রীবাস্তবকে জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি কি একটি ইমেল পাঠিয়েছেন (জরুরি শুনানির জন্য)?" শ্রীবাস্তব ইতিবাচক জবাব দেন । সিজেআই তখন বলেন যে, তিনি বিষয়টি বিকেলে দেখবেন ৷
সন্দেশখালি এলাকার বহু মহিলা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে জমি দখল ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সরব হয়েছেন ৷
জনস্বার্থ মামলায় সন্দেশখালি ও বসিরহাটের গ্রামে বসবাসকারী মহিলাদের উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত রাজ্যের পুলিশের থেকে সর্বোচ্চ আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই বা পশ্চিমবঙ্গের বাইরের, বিশেষত দিল্লির বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি) কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে ৷
আবেদনে বলা হয়েছে, "উক্ত এলাকায় শেখ শাহজাহানের সন্ত্রাস আরও স্পষ্ট হয় 05.01.2024 তারিখে, যেদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অফিসারদের একটি দল রেশন দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালাতে যান ৷ শেখ শাহজাহানের গুন্ডারা ইডি অফিসারদের উপর আক্রমণ করেছিলেন, যার ফলে তিনজন ইডি আধিকারিক গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত হন ৷"
আবেদনে বলা হয়, প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান পলাতক এবং এখনও পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি । এতেই স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণিত হয় ৷ বলা হয়েছে, "স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যে, শাসকের নির্দেশে উল্লিখিত প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে পুলিশ এবং সেই কারণে ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই মামলার তদন্ত এই আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই বা সিটকে হস্তান্তর করা খুবই জরুরি ।"
আরও পড়ুন: