নয়াদিল্লি, 15 এপ্রিল: গত শনিবার আকাশপথে ইজরায়েলের মাটিতে একের পর এক হামলা চালিয়েছে ইরান ৷ যা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ৷ এবার রবিবার রাতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দুই দেশে বিদেশমন্ত্রীদের ফোন করে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন ৷ মধ্যপ্রাচ্যে তৈরি হওয়া এই কূটনৈতিক জটিলতা নিয়ে দু’তরফেই ভারতের হয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি ৷
জয়শঙ্কর এক্স হ্যান্ডেলে ইরান ও ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীদের আলোচনার বিষয়টি জানিয়েছেন ৷ সেখানে তিনি লেখেন, "সবেমাত্র ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী কাটজের সঙ্গে আলোচনা শেষ হল ৷ গতকাল থেকে তৈরি হওয়া জটিল পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি ৷ ওই অঞ্চলের বৃহত্তর কূটনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ দু’তরফেই যোগাযোগ বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহমত পোষণ করা হয়েছে ৷" তবে, ঠিক কী আলোচনা হয়েছে বা ইরানের হামলা প্রেক্ষিতে ইজরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে ? এমন কোনও আলোচনা হয়েছে কি না, সেই তথ্য বিদেশমন্ত্রী জানাননি ৷
এস জয়শঙ্কর ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ার সঙ্গেও কথা বলেন ৷ ভারতের তরফে এস জয়শঙ্কর তাঁকে কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন ৷ সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের মতো অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখা ও উত্তেজনা এড়িয়ে চলার গুরুত্ব কতটা তাও বুঝিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ৷ সেই সঙ্গে গল্ফ কান্ট্রির তরফে ভারতের বাণিজ্যিক জাহাজ এমএসসি এরিস ও তার বণিকদের আটক করার বিষয়েও কথা বলেন তিনি ৷
জয়শঙ্কর ইরানের বিদেশমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে জানান, "ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললাম আজ সন্ধ্যায় ৷ বাণিজ্যিক জাহাজ এমএসসি এরিসের 17 জন ভারতীয় ক্রু মেম্বারকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছি ৷ পাশাপাশি ওই অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ উত্তেজনা এড়িয়ে চলা ও সংযম বজায় রাখা জরুরি বলে জানানো হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে কূটনৈতিক পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধানের কথা বলেছি ৷"
উল্লেখ্য, ইরানের এই মিসাইল ও ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে রবিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক বসে ৷ মূলত ইজরায়েলের অনুরোধেই এই বৈঠক হয় ৷ যেখানে ড্রোন-ব্যালিস্টিক হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রসংঘের চার্টার এবং আন্তর্জাতিক আইন উলঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ ৷ রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেজ বিবৃতিতে বলেন, "এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পিছু হটার সময় এসেছে ৷ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য সকল সদস্য দেশেরই সমান দায়িত্ব বর্তায় ৷"
আরও পড়ুন: