ETV Bharat / bharat

কেন আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা ? কীভাবে আরজি করে 7 হাজার লোক ? সুপ্রিম-বাণে বিদ্ধ রাজ্য - RG Kar Doctor Rape and Murder

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 20, 2024, 3:28 PM IST

SC raps WB Govt on RG Kar Issue: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় রাজ্যকে একহাত নিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, কেন আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হল ? কীভাবে আরজি করে 7 হাজার লোক ঢুকে পড়ল ? এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ ও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷

ETV BHARAT
কলকাতা পুলিশ ও সন্দীপ ঘোষের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট (নিজস্ব চিত্র)

নয়াদিল্লি, 20 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়তে হল রাজ্য সরকারকে ৷ এই ঘটনায় এফআইআর দায়েরে বিলম্বের জন্য আজ রাজ্যকে একহাত নিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই ঘটনা 'ভয়ঙ্কর' ৷ আরজি করের ঘটনা গোটা দেশে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় পদ্ধতিগত সমস্যার কথা তুলে ধরেছে ৷

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে যে, "মহিলারা যদি কাজে যেতে না-পারেন এবং কাজের পরিবেশ যদি নিরাপদ না-হয় তবে আমরা তাঁদের সমানাধিকারকে অস্বীকার করছি ।" ধর্ষণ-খুনের মামলায় এফআইআর দায়ের করতে বিলম্ব হওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তুলোধোনা করেছে শীর্ষ আদালত ৷ তাদের প্রশ্ন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী করছিল ?"

বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অপরাধ সনাক্ত করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে ৷ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ।" 14 অগস্টের রাতে কীভাবে হাজার হাজার জনতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঢুকে পড়ল, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা পুলিশকেও একহাত নেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷

আদালতের প্রশ্ন, যখন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আচরণ তদন্তের অধীনে, তখন কীভাবে তাঁকে অবিলম্বে অন্য মেডিক্যাল কলেজে নিয়োগ করা হয় ৷ সর্বোচ্চ আদালত বলেছে যে, বেশিরভাগ তরুণ ডাক্তাররা 36 ঘণ্টা কাজ করছেন এবং কর্মক্ষেত্রে তাঁদের জন্য নিরাপদ পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় প্রোটোকল তৈরি করার প্রয়োজন । সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তখন বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, আর এটা রাজ্যের অস্বীকার করা উচিত নয় ৷ বিচারপতির কথায়, কলকাতা পুলিশের অজান্তে সাত হাজার মানুষ হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারে না ।

নয়াদিল্লি, 20 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়তে হল রাজ্য সরকারকে ৷ এই ঘটনায় এফআইআর দায়েরে বিলম্বের জন্য আজ রাজ্যকে একহাত নিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই ঘটনা 'ভয়ঙ্কর' ৷ আরজি করের ঘটনা গোটা দেশে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় পদ্ধতিগত সমস্যার কথা তুলে ধরেছে ৷

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে যে, "মহিলারা যদি কাজে যেতে না-পারেন এবং কাজের পরিবেশ যদি নিরাপদ না-হয় তবে আমরা তাঁদের সমানাধিকারকে অস্বীকার করছি ।" ধর্ষণ-খুনের মামলায় এফআইআর দায়ের করতে বিলম্ব হওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তুলোধোনা করেছে শীর্ষ আদালত ৷ তাদের প্রশ্ন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী করছিল ?"

বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অপরাধ সনাক্ত করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে ৷ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ।" 14 অগস্টের রাতে কীভাবে হাজার হাজার জনতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঢুকে পড়ল, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা পুলিশকেও একহাত নেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷

আদালতের প্রশ্ন, যখন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আচরণ তদন্তের অধীনে, তখন কীভাবে তাঁকে অবিলম্বে অন্য মেডিক্যাল কলেজে নিয়োগ করা হয় ৷ সর্বোচ্চ আদালত বলেছে যে, বেশিরভাগ তরুণ ডাক্তাররা 36 ঘণ্টা কাজ করছেন এবং কর্মক্ষেত্রে তাঁদের জন্য নিরাপদ পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় প্রোটোকল তৈরি করার প্রয়োজন । সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তখন বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, আর এটা রাজ্যের অস্বীকার করা উচিত নয় ৷ বিচারপতির কথায়, কলকাতা পুলিশের অজান্তে সাত হাজার মানুষ হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারে না ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.