হায়দরাবাদ, 22 জানুয়ারি: বহু ঝড়ঝাপটা এবং বিতর্কের পর 2019 সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সরযূ দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে । 4 বছর পর সেখানেই সূচনা হল নয়া ইতিহাসের । সনাতনীরা বলছেন, পাঁচশো বছর পর নিজের রাজ্যে ফিরলেন রামলালা । সনাতন ধর্ম বলে, 'ডিউটি বিফোর সেলফ' । বাংলায় যার অর্থ, নিজের আগে কর্ম। মর্যাদা পুরুষোত্তমের 'ঘর ওয়াপসি'র অনুষ্ঠানের সমস্ত উপাদান মজুদ ছিল অযোধ্যায় ।
11 দিনের উপোস, শুধুমাত্র নারকেলের জল খেয়ে মাটিতে শুয়ে কাটিয়েছেন । আদর্শ যজমানের মতো ঢুকলেন গর্ভগৃহে, নরেন্দ্র মোদির হাত থেকেই হল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা । 84 সেকেন্ডের উপাচারের পর প্রাণ পেলেন শ্রীরাম ।
একনজরে রাম মন্দির:
রাম মন্দিরের নকশা করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী নাগারা শৈলীতে । মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে 380 ফুট, 250 ফুট চওড়া এবং 161 ফুট লম্বা । নতুন কাঠামোর নকশা করেছেন চন্দ্রকান্ত সোমপুরা ও তাঁর ছেলে আশিস । মন্দির কমপ্লেক্সটি 70 একর জুড়ে বিস্তৃত, মূল মন্দির 2.7 একরে বিস্তৃত এবং প্রায় বিল্ড-আপ এরিয়া 57,000 বর্গফুট । সমগ্র প্রকল্পটির মূল্য 1,800 কোটি টাকা ।
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান:
রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং আরএসএস সরসঙ্ঘচালক (প্রধান) মোহন ভাগবত গর্ভগৃহে উপস্থিত ছিলেন । সবমিলিয়ে আমন্ত্রিতের সংখ্যা ছিল প্রায় প্রায় 7 হাজার ৷ তাদের সাক্ষী রেখে ভারতের সনাতনী ইতিহাসে নয়া অধ্যায়ের সূচনা হল । রাজসূয় যজ্ঞে সরযূর তীরে ফিরলেন শ্রীরাম ।
আরও পড়ুন:
কয়েকশো বছরের প্রতীক্ষা-ধৈর্য-ত্যাগের পর আজ আমাদের রাম এসেছেন, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
রামরাজ্যে ফিরলেন মর্যাদা পুরুষোত্তম, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা প্রধানমন্ত্রীর
রামরাজ্যে পুরুষোত্তমের প্রত্যাবর্তন, কেমন ছিল পাঁচ শতকের যাত্রাপথ ?