নিমকাথানা (রাজস্থান), 14 নভেম্বর: বিয়ের সাতপাক ঘোরার পরই পণের দাবি করে বসেন বর ৷ আর তা শুনেই বরের সঙ্গে তাঁর বাড়ি যেতে অস্বীকার করলেন নববধূ। এই ঘটনার পরই দু'পক্ষের মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছয়। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ বর-সহ মোট পাঁচ জনকে শান্তি ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, বর আইটিবিপির কনস্টেবল। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
স্থানীয় কোতওয়ালি থানার আধিকারিক হরিনারায়ণ মিনা জানিয়েছেন, কনে পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে বর এবং তাঁর পিতা-সহ পাঁচ জন লোককে শান্তি ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যৌতুকের দাবি করেছে বর পক্ষ। পুলিশের কাছে সেই অভিযোগই দায়ের করেছেন খোদ কনে।
তথ্য অনুযায়ী, গত 12 নভেম্বর ওই যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বরের পরিবারের সদস্যরা বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় বর যৌতুক দাবি করে বসেন। যদিও কনে পক্ষের লোকজন যৌতুক দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই বর পক্ষের লোকজন কনে-সহ উপস্থিত মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। খবর যায় পুলিশে।
মেয়ে পক্ষের লোকজন জানায়, কনের বাবা নেই। মেয়েটি বর্তমানে বিএড করছে। তাঁর দুই ভাই আছে ৷ দু'জনেই শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। বিয়ের আগে ছেলের পরিবারকে আশীর্বাদের সময় নগদ পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু বিদায়ের সময় আবারও নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও একটি বাইক দাবি করেন বর। তা দিতে না পারায় শুরু হয় গোলমাল।
অন্যদিকে, কনে পক্ষের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন বরের বাড়ির সদস্যরা। সংবাদমাধ্যমে বরের দাবি, পণ চাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। বিয়ের পর জুতো লোকানোর রীতি নিয়ে বিরোধ বেধেছিল দু'পক্ষের। কোতোয়ালি থানার পুলিশ উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে আসে। শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে বর-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। যদিও পরে জামিন পান বর।