ETV Bharat / bharat

পদত্যাগ পঞ্জাবের রাজ্যপাল-চণ্ডীগড়ের প্রশাসক বনওয়ারিলাল পুরোহিতের

Banwarilal Purohit: পঞ্জাবের রাজ্যপাল ও চণ্ডীগড়ের প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনওয়ারিলাল পুরোহিত ৷ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ৷ ইস্তফার জন্য ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন ৷

Banwarilal Purohit
Banwarilal Purohit
author img

By PTI

Published : Feb 3, 2024, 6:53 PM IST

চণ্ডীগড়, 3 ফেব্রুয়ারি: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পঞ্জাবের রাজ্যপাল ও চণ্ডীগড়ের প্রশাসক বনওয়ারিলাল পুরোহিত পদত্যাগ করলেন ৷ তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, "আমার ব্যক্তিগত কারণ এবং কিছু অন্যান্য প্রতিশ্রুতির কারণে আমি পঞ্জাবের রাজ্যপাল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি । অনুগ্রহ করে এটি গ্রহণ করুন ৷"

84 বছর বয়সী বনওয়ারিলাল পুরোহিত শুক্রবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন ৷ তার পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে ৷ পঞ্জাবের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলানোর আগে পুরোহিত 2016-17 অসমের রাজ্যপাল ছিলেন ৷ এর পর 2017 থেকে 2021 সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ৷

সাংবিধানিক পদে আসার আগে তিনি সংসদীয় রাজনীতিতেও ছিলেন ৷ তিনি নাগপুরের তিনবারের সাংসদ ৷ 1984, 1989 ও 1996 - এই তিনবার তিনি জয়ী হয়েছিলেন ৷ তাছাড়া মহারাষ্ট্র বিধানসভায় তিনি দু’বার জিতেছিলেন 1978 সালে তিনি নাগপুর পূর্ব কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন ৷ আর 1980 সালে তিনি জেতেন নাগপুর দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ৷

পঞ্জাবের রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর সঙ্গে সেখানকার আপ সরকারের সম্পর্ক বারবার শিরোনামে এসেছে ৷ প্রায় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সরকারের সঙ্গে তাঁর কোনও কোনও ঝামেলা বাঁধত ৷ 2022 সালের সেপ্টেম্বর বিশেষ অধিবেশন ডাকে আস্থা ভোট চেয়েছিলেন মান ৷ কিন্তু সরকারের সেই প্রস্তাবে সায় দেননি ৷ তাছাড়া উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও বিরোধ হয়েছিল ৷ আপ বারবার অভিযোগ করেছে যে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল ৷

বাজেট অধিবেশন ডাকা নিয়েও মান সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন হয় পুরোহিতের ৷ তিনি মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মতো বাজেট অধিবেশন না ডাকায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে মান সরকার ৷ মার্চে বাজেট অধিবেশন হলেও শীর্ষ আদালতে এই নিয়ে মামলা চলতেই থাকে ৷ অন্যদিকে পুরোহিত পঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি শাসনেরও সুপারিশ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন ৷

গত 10 নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট পঞ্জাবের রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতকে 19 ও 20 জুন অধিবেশনে পাশ হওয়া বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন ৷ পাশাপাশি পঞ্জাব সরকারকেও বাজেট অধিবেশন শেষ না করে বারবার মুলতুবি করার জন্য প্রশ্নের মুখে ফেলে শীর্ষ আদালত ৷ এর পর তিনটি বিল রাজ্যপাল পাশ না করে রেখে দেন ৷ রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য ওই তিনটি বিল রেখে দেওয়া হয় ৷

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে কি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের জন্যই সরতে হল রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতকে ? যদিও সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রাজভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল পুরোহিতের গলায় ৷

সংবাদসংস্থা - পিটিআই

আরও পড়ুন:

রাজ্যে-রাজ্যে সরকার ও রাজ্যপালের সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

চণ্ডীগড়, 3 ফেব্রুয়ারি: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পঞ্জাবের রাজ্যপাল ও চণ্ডীগড়ের প্রশাসক বনওয়ারিলাল পুরোহিত পদত্যাগ করলেন ৷ তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, "আমার ব্যক্তিগত কারণ এবং কিছু অন্যান্য প্রতিশ্রুতির কারণে আমি পঞ্জাবের রাজ্যপাল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি । অনুগ্রহ করে এটি গ্রহণ করুন ৷"

84 বছর বয়সী বনওয়ারিলাল পুরোহিত শুক্রবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন ৷ তার পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে ৷ পঞ্জাবের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলানোর আগে পুরোহিত 2016-17 অসমের রাজ্যপাল ছিলেন ৷ এর পর 2017 থেকে 2021 সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ৷

সাংবিধানিক পদে আসার আগে তিনি সংসদীয় রাজনীতিতেও ছিলেন ৷ তিনি নাগপুরের তিনবারের সাংসদ ৷ 1984, 1989 ও 1996 - এই তিনবার তিনি জয়ী হয়েছিলেন ৷ তাছাড়া মহারাষ্ট্র বিধানসভায় তিনি দু’বার জিতেছিলেন 1978 সালে তিনি নাগপুর পূর্ব কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন ৷ আর 1980 সালে তিনি জেতেন নাগপুর দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ৷

পঞ্জাবের রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর সঙ্গে সেখানকার আপ সরকারের সম্পর্ক বারবার শিরোনামে এসেছে ৷ প্রায় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সরকারের সঙ্গে তাঁর কোনও কোনও ঝামেলা বাঁধত ৷ 2022 সালের সেপ্টেম্বর বিশেষ অধিবেশন ডাকে আস্থা ভোট চেয়েছিলেন মান ৷ কিন্তু সরকারের সেই প্রস্তাবে সায় দেননি ৷ তাছাড়া উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও বিরোধ হয়েছিল ৷ আপ বারবার অভিযোগ করেছে যে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল ৷

বাজেট অধিবেশন ডাকা নিয়েও মান সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন হয় পুরোহিতের ৷ তিনি মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মতো বাজেট অধিবেশন না ডাকায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে মান সরকার ৷ মার্চে বাজেট অধিবেশন হলেও শীর্ষ আদালতে এই নিয়ে মামলা চলতেই থাকে ৷ অন্যদিকে পুরোহিত পঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি শাসনেরও সুপারিশ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন ৷

গত 10 নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট পঞ্জাবের রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতকে 19 ও 20 জুন অধিবেশনে পাশ হওয়া বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন ৷ পাশাপাশি পঞ্জাব সরকারকেও বাজেট অধিবেশন শেষ না করে বারবার মুলতুবি করার জন্য প্রশ্নের মুখে ফেলে শীর্ষ আদালত ৷ এর পর তিনটি বিল রাজ্যপাল পাশ না করে রেখে দেন ৷ রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য ওই তিনটি বিল রেখে দেওয়া হয় ৷

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে কি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের জন্যই সরতে হল রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতকে ? যদিও সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রাজভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল পুরোহিতের গলায় ৷

সংবাদসংস্থা - পিটিআই

আরও পড়ুন:

রাজ্যে-রাজ্যে সরকার ও রাজ্যপালের সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.