ETV Bharat / bharat

জেলে বসেই লাখ টাকা উপার্জন, কী করেন কয়েদি ? - Prisoner Earns Lakhs in Jail

author img

By PTI

Published : Sep 6, 2024, 5:33 PM IST

Updated : Sep 6, 2024, 7:29 PM IST

Lakhpati Prisoner: আইনি সাহায্য নেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য থাকে না অনেক কয়েদির ৷ তাদের বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ দেওয়া থেকে আবেদন লিখে দেওয়ার কাজ করেন স্বেচ্ছাসেবী আইনি সহায়করা ৷ এই কাজ কয়েদিরাও করতে পারে ৷ সেই কাজ করেই জেলে বসে রোজগার কয়েদি, রইল সেই কাহিনি ৷

Lakhpati Prisoner
জেলে বসেই আইনি সহায়ক হলেন কয়েদি (প্রতীকী ছবি)

ফারুখাবাদ, 6 সেপ্টেম্বর: জেলে বসেই লাখপতি হলেন এক কয়েদি! পারিশ্রমিক পেলেন 1.04 লক্ষ টাকা ! তিনি জেলের অন্য কয়েদিদের আইনি সাহায্য় করেছেন ৷ তাদের আইনি পরামর্শ দেওয়া এবং আইনি চিঠিপত্র লিখে দেওয়ার কাজকর্ম করেছেন ৷ তাই উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে কয়েদি কুলদীপ সিংকে এই অর্থ তাঁকে দিয়েছে জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি, জানিয়েছেন, জেলের আধিকারিক ৷

স্নাতক কুলদীপ সিং 2017 সালের 14 নভেম্বর থেকে জেলবন্দি ৷ একটি খুনের মামলায় সে আজীবন সাজাপ্রাপ্ত ৷ জেলের সুপারিনটেনডেন্ট ভীমসেন মুকুন্দ কুলদীপকে আরেক কয়েদিকে সাহায্য় করার কাজে নিয়োগ করেছিলেন ৷ কুলদীপ কয়েদিকে আদালতের আবেদনপত্র লিখে দিত ৷ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি খুব মন দিয়ে কাজটি করত ৷ কুলদীপের অধ্যবসায় নজরে পড়ে জেল কর্তৃপক্ষের ৷

2022 সালের 19 মে জেলের ভিতর 'লিগ্যাল এইড ক্লিনিক'-এর প্রতিষ্ঠা করেন আচল প্রতাপ সিং ৷ তিনি সেসময় জেলার লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির সচিব ছিলেন ৷ প্রতাপ সিং, কুলদীপকে স্বেচ্ছাসেবী আইনি সহায়ক হিসেবে নিয়োগ করেন ৷ দিনের পর দিন কুলদীপের পরিশ্রমে সন্তুষ্ট হয়ে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি-র তরফে সংস্থার সচিব সঞ্জয় কুমার কুলদীপের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 1.04 টাকা পাঠিয়ে দেন ৷

এই খবরে ভীমসেন মুকুন্দ বলেন, "এই টাকা পেয়ে খুব খুশি কুলদীপ সিং ৷ এতে অন্য কয়েদিরাও উৎসাহিত হয়েছে ৷ আদালতে মামলা লড়ার সামর্থ্য থাকে না অনেক কয়েদির ৷ তখন তাদের আইনি সাহায্য করে স্বেচ্ছাসেবী আইনি সহায়করা ৷ তাঁরা কয়েদিদের প্রাথমিক কাউন্সেল করে, আবেদনের খসড়া বা সরকারি যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কাজ করে থাকেন ৷ এর জন্য কয়েদিদের কোনও অর্থ দিতে হয় না ৷ কিন্তু যে সব কয়েদি এরকম আইনি সহায়ক হয়ে উঠতে পারেন, তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় ৷ সেই টাকা তারা পরিবারের জন্য খরচ করতে পারেন ৷"

এইভাবে অনেক কয়েদি রোজগার করা অর্থ কাজে লাগিয়ে জেল থেকে বেরিয়েছেন ৷ জেলে থাকা অনেক কয়েদি তাদের পরিবারকে চেকের মাধ্যমে টাকা পাঠায় ৷ সেই চেকগুলি পাঠানো হয় ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি-র সচিব, জেলাশাসকের মাধ্যমে, জানালেন জেল সুপার মুকুন্দ ৷

কুলদীপ সিং সম্পর্কে ভীমসেন মুকুন্দ জানান, কেউ কুলদীপের দাদুর উপর হামলা চালিয়েছিল ৷ কুলদীপ রাগের মাথায় তাকে খুন করে ৷ 2008 সালের ঘটনা ৷ তখন তার বয়স মাত্র 20 বছর ৷ পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেখান থেকে জেলে বন্দি কুলদীপ ৷ জেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুলদীপের আগে এক কয়েদি আইনি সহায়ক হয়ে 50 হাজার টাকা রোজগার করেছিলেন ৷

ফারুখাবাদ, 6 সেপ্টেম্বর: জেলে বসেই লাখপতি হলেন এক কয়েদি! পারিশ্রমিক পেলেন 1.04 লক্ষ টাকা ! তিনি জেলের অন্য কয়েদিদের আইনি সাহায্য় করেছেন ৷ তাদের আইনি পরামর্শ দেওয়া এবং আইনি চিঠিপত্র লিখে দেওয়ার কাজকর্ম করেছেন ৷ তাই উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে কয়েদি কুলদীপ সিংকে এই অর্থ তাঁকে দিয়েছে জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি, জানিয়েছেন, জেলের আধিকারিক ৷

স্নাতক কুলদীপ সিং 2017 সালের 14 নভেম্বর থেকে জেলবন্দি ৷ একটি খুনের মামলায় সে আজীবন সাজাপ্রাপ্ত ৷ জেলের সুপারিনটেনডেন্ট ভীমসেন মুকুন্দ কুলদীপকে আরেক কয়েদিকে সাহায্য় করার কাজে নিয়োগ করেছিলেন ৷ কুলদীপ কয়েদিকে আদালতের আবেদনপত্র লিখে দিত ৷ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি খুব মন দিয়ে কাজটি করত ৷ কুলদীপের অধ্যবসায় নজরে পড়ে জেল কর্তৃপক্ষের ৷

2022 সালের 19 মে জেলের ভিতর 'লিগ্যাল এইড ক্লিনিক'-এর প্রতিষ্ঠা করেন আচল প্রতাপ সিং ৷ তিনি সেসময় জেলার লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির সচিব ছিলেন ৷ প্রতাপ সিং, কুলদীপকে স্বেচ্ছাসেবী আইনি সহায়ক হিসেবে নিয়োগ করেন ৷ দিনের পর দিন কুলদীপের পরিশ্রমে সন্তুষ্ট হয়ে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি-র তরফে সংস্থার সচিব সঞ্জয় কুমার কুলদীপের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 1.04 টাকা পাঠিয়ে দেন ৷

এই খবরে ভীমসেন মুকুন্দ বলেন, "এই টাকা পেয়ে খুব খুশি কুলদীপ সিং ৷ এতে অন্য কয়েদিরাও উৎসাহিত হয়েছে ৷ আদালতে মামলা লড়ার সামর্থ্য থাকে না অনেক কয়েদির ৷ তখন তাদের আইনি সাহায্য করে স্বেচ্ছাসেবী আইনি সহায়করা ৷ তাঁরা কয়েদিদের প্রাথমিক কাউন্সেল করে, আবেদনের খসড়া বা সরকারি যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কাজ করে থাকেন ৷ এর জন্য কয়েদিদের কোনও অর্থ দিতে হয় না ৷ কিন্তু যে সব কয়েদি এরকম আইনি সহায়ক হয়ে উঠতে পারেন, তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় ৷ সেই টাকা তারা পরিবারের জন্য খরচ করতে পারেন ৷"

এইভাবে অনেক কয়েদি রোজগার করা অর্থ কাজে লাগিয়ে জেল থেকে বেরিয়েছেন ৷ জেলে থাকা অনেক কয়েদি তাদের পরিবারকে চেকের মাধ্যমে টাকা পাঠায় ৷ সেই চেকগুলি পাঠানো হয় ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি-র সচিব, জেলাশাসকের মাধ্যমে, জানালেন জেল সুপার মুকুন্দ ৷

কুলদীপ সিং সম্পর্কে ভীমসেন মুকুন্দ জানান, কেউ কুলদীপের দাদুর উপর হামলা চালিয়েছিল ৷ কুলদীপ রাগের মাথায় তাকে খুন করে ৷ 2008 সালের ঘটনা ৷ তখন তার বয়স মাত্র 20 বছর ৷ পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেখান থেকে জেলে বন্দি কুলদীপ ৷ জেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুলদীপের আগে এক কয়েদি আইনি সহায়ক হয়ে 50 হাজার টাকা রোজগার করেছিলেন ৷

Last Updated : Sep 6, 2024, 7:29 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.