নয়াদিল্লি, 14 অক্টোবর: প্রায় ছয় বছর পরে জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান হল। রবিবার কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষেই হয়তো জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। মূলত, সেই জন্যই এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে রবিবার রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
যে কেন্দ্রীয় সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করেছেন ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, 2019-এর অনুচ্ছেদ 73 অনুযায়ী এবং ভারতীয় সংবিধানের 239 এবং 239-এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে 31 অক্টোবর, 2019 সালে যে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল, তা জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, 2014-এ মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েছিল। তবে চার বছরের বেশি টেকেনি এই জোট ৷ 2018 সালে এই জোট ভেঙে যায় এবং সরকারের পতন হয়। ওই বছরেরই জুনে জম্মু-কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। 2019 সালে অনুচ্ছেদ 370 বা কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই সময় দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। একটি জম্মু-কাশ্মীর, অন্যটি লাদাখ।
সম্প্রতি, ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা ভোটে জিতেছে এবং সরকার গড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লাহ। তিনিই এই জোটের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। এর পরই গত শুক্রবার নিজের দলের 42 বিধায়ক, 6 কংগ্রেস বিধায়ক, একজন আপ, একজন সিপিএম এবং কয়েক জন নির্দল বিধায়কের স্বাক্ষর নেওয়া চিঠি নিয়ে উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান ওমর।
বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীর একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ৷ তাই সেখানে নির্বাচিত সরকারের কতটা ভূমিকা থাকবে, এখানকার রাজ্য প্রশাসনে উপরাজ্যপাল বা কেন্দ্রের কতটা প্রভাব থাকবে, তা বুঝতে হলে এখনও বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে ৷