নয়াদিল্লি, 30 মার্চ: মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান অনুষ্ঠান হল আজ ৷ এবছর মৃত্যুর পর দেশের এই সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন দেশের নবম প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও, দেশের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধরী চরণ সিং, সবুজ বিপ্লবের নায়ক বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন এবং বিহারের দু'দুবারের মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুর ৷ শনিবার নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এই মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান তুলে দিলেন তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ৷
এদিন দেশের নবম প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওয়ের ছেলে পিভি প্রভাকর রাও রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে মরণোত্তর ভারতরত্ন গ্রহণ করেন ৷ প্রধানমন্ত্রী চৌধরী চরণ সিংয়ের তরফে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর নাতি জয়ন্ত চৌধরী ৷ তিনি এদিন তাঁর ঠাকুরদার মরণোত্তর ভারতরত্ন গ্রহণ করেন ৷ লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই উত্তরপ্রদেশে জয়ন্ত চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় লোকদলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে বিজেপি ৷
দেশে সবুজ বিপ্লবের জনক বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথনকেও এদিন মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয় ৷ তাঁর মেয়ে নিত্যা রাও রাষ্ট্রপতি ভবনে সম্মান গ্রহণ করেন ৷ ছ'য়ের দশকে ভারতে কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছিল ৷ সেই পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজ্ঞানী স্বামীনাথন ৷ বিহারের দু'দুবারের মুখ্যমন্ত্রী কপূরী ঠাকুরকেও মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয় ৷ তাঁর ছেলে রামনাথ ঠাকুর এদিন সম্মান গ্রহণ করেন ৷
এবছর ভারত সরকার পাঁচজনকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করার কথা ঘোষণা করে ৷ তাঁদের মধ্যে একমাত্র জীবিত অবস্থায় ভারতরত্ন পেয়েছেন বিজেপির দ্বিতীয় সভাপতি এল কে আডবানি ৷ প্রথম এনডিএ সরকারের আমলে তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ৷ এদিনের ভারতরত্ন প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, রাজ্যসভার বিরোধী নেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷
আরও পড়ুন:
