আলওয়ার, 2 অগস্ট: নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ অগ্নিবীর সেনার বিরুদ্ধে ৷ সেনাবাহিনীর সহায়তায় উত্তরাখণ্ড থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই অগ্নিবীর সৈনিককে আদালতে পেশ করলে, সেখানে তাকে 15 দিনের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, 22 জুলাই নির্যাতিতা রাজস্থানের আলওয়ার জেলার কাঠুমার থানায় একটি গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৷ নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ওই অগ্নিবীর সেনা নির্যাতিতাকে বাড়ি থেকে বাইকে করে একটি জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। অগ্নিবীর সেনার বন্ধুরা আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিল। ওই নাবালিকা সেখানে পৌঁছতেই সকলে মিলে তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার ৷ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা ৷ নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷
তদন্তে নেমেই পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত একজন একজন অগ্নিবীর সৈনিক ৷ তবে সম্প্রতি সে অগ্নিবীর হিসাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। মূল অভিযুক্ত সে, ওই সেনায় আগেও নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতেন ৷ ঘটনার দিনও সে আগে নির্যাতিতাকে ফোন করেছিল ৷ নাবালিকাকে নির্যাতনের পর ওই অগ্নিবীর সেনা উত্তরাখণ্ডে তাঁর কর্মস্থলে যোগ দেয় ৷ তাকে ধরতে কর্মস্থলের কর্তব্যরত সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ সেনাবাহিনীর সহায়তায় উত্তরাখণ্ড থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
রাজস্থানের কাঠুমারের ডিএসপি যোগেন্দ্র সিং জানান, গণধর্ষণের এই ঘটনাটি 14 জুলাই ঘটেছিল । পুলিশে মামলা দায়েরের পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়, সেখান থেকে তাকে 15 জুলাই জেলহাজতে পাঠানো হয়। রাজস্থানের এসপি শর্মা জানিয়েছেন, এই মামলার রিপোর্ট সেনাবাহিনীতে পাঠানো হবে ৷ পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
নির্যাতিতা ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন ৷ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাকে চিঠি দিয়ে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছেন ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। ভুক্তভোগী ওই চিঠিতে জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা একজন মন্ত্রীর নাম করে তাঁকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দিচ্ছে ৷