অযোধ্যা, 22 জানুয়ারি: রাম মন্দির নির্মাণ করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন শ্রমিকরা ৷ মন্দির নির্মাণকারী ওইসব কর্মীদের গায়ে ফুল বর্ষণ করে অভ্যর্থনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ শ্রমিকেরা চেয়ারে বসেছিলেন ৷ হাতে ঝুড়ি নিয়ে কর্মীদের মাঝে হাঁটতে হাঁটতে তাঁদের উপর ফুল ছড়ালেন প্রধানমন্ত্রী ৷ নরেন্দ্র মোদি এ দিন রাম মন্দির চত্বরে থাকা জটায়ুর মূর্তির উপরও ফুল বর্ষণ করেন ৷
পাশাপাশি তিনি অযোধ্যাধামে ভগবান শিবের পুজোও করেন । অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ৷ হেলিকপ্টারে করে রাম মন্দির ও সেখানে উপস্থিত অতিথিদের উপর ফুল ছড়ানো হয় ৷ হাত জড়ো করে উপস্থিত সকলকে সম্বোধন করেন মোদি ৷ তিনি বলেন, "রামলালার মূর্তি উন্মোচনের মুহূর্তটি কেবল বিজয়ের নয়, বিনয়েরও একটি উপলক্ষ ।"
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হল সোমবার ৷ কয়েক শতক বাদে নিজের ঘরে ফিরেলেন রামলালা ৷ আর তাঁকে তাঁবুতে থাকতে হবে না ৷ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন তিনি ৷ রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ফুলের চাদরে সেজে উঠেছে রাম মন্দির ৷ সোমবার নিজের হাতে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ এরপর মন্দিরের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "এই মন্দির নির্মাণ দেশের শান্তি, ধৈর্য, সম্প্রীতি ও সংহতির প্রতীক। ভারতীয় সমাজের সমন্বয়ের ফসল । যারা বলেছিল মন্দির নির্মাণ হলে আগুন জ্বলবে তারা ভারতের সামাজিক চেতনাকেই বুঝতে পারেনি । আমরা দেখছি যে এই নির্মাণের ফলে কোনো আগুন জ্বলছে না, বরং শক্তি মিলছে ৷ অযোধ্যার মন্দির আদতে জাতীয় চেতনার মন্দির ।"
এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় রামলালার । একটি লাল ভাঁজ করা ওড়নার উপর রুপোর 'ছত্তর' (ছাতা) নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী । আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও অনুষ্ঠানের সময় মন্দিরের ভিতরে উপস্থিত ছিলেন ।
আরও পড়ুন: