শরথ (ঝাড়খণ্ড), 13 নভেম্বর: ঝাড়খণ্ডে ভোটপ্রচারে গিয়ে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ শুধু রাহুলই নয়, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকেও একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তোপ দেখেছেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে উদ্দেশ্য করেও। প্রধানমন্ত্রী জানান, একদিকে কংগ্রেসের শাহজাদা তফশিলি জাতি-উপজাতি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ বাতিল করার ষড়যন্ত্র করছেন ৷ আর অন্যদিকে,অনুপ্রবেশকারীদের স্থায়ী নাগরিক হতে সাহায্য করছে জেএমএমের সরকার ।
বুধবার ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার নির্বাচন হল ৷ দ্বিতীয় দফার আগে এদিন দেওঘরে ভোট প্রচারে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের বর্তমান সরকারের ষড়যন্ত্র রাজ্যের পরিচয় বদলে দিচ্ছে ৷ মোদির দাবি, চলতি ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ঝাড়খণ্ডে সরকার গঠন করতে চলেছে ৷ একধাপ এগিয়ে নয়া সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের বিপজ্জনক উদ্দেশ্য রয়েছে । কংগ্রেসের শাহজাদা এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ বাতিল করার ষড়যন্ত্র করছেন । রাজকুমারের বাবা সংরক্ষণকে দাসত্ব-বন্ডেড লেবার হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন ৷ পরে তিনি নির্বাচনে পরাজিত হন । তাঁর বাবা সংরক্ষণ অপসারণের জন্য বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দিয়েছিলেন । আমরা এই ধরনের যে কোনও ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেব ৷’’ এভাবেই রাহুল গান্ধি এবং তাঁর বাবা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে নাম না-করে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী ৷
মোদির দাবি, ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশ একটি প্রধান উদ্বেগের কারণ ৷ যার কারণে সাঁওতাল পরগণায় উপজাতি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে দাবি বিভিন্ন মহলের ৷ এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীা বলেন, যদি এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ না-করা হয় তবে রাজ্যের মূল পরিচয় বদলে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘সরকার ঝাড়খণ্ডের বেটি, মাটি ও রোটির নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে ৷’’