নয়াদিল্লি, 15 এপ্রিল: গত 22 জানুয়ারি নবনির্মিত রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার ৷ সেই অনুষ্ঠানে প্রধান যজমান ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আমন্ত্রণ পেয়েও ওই অনুষ্ঠানে যাননি কংগ্রেসের কোনও নেতা ৷ সেই ঘটনার প্রায় তিনমাস পর এই নিয়ে সরব হলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ৷
তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলি বরাবর রামমন্দিরকে একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ৷ আগেই এই সমস্যার সমাধান করে ফেলা যেত আদালতে ৷ সেটা করা হয়নি৷ কারণ, কংগ্রেস এটা নিয়ে ভোটব্যাংকের রাজনীতি করতে চেয়েছে বরাবর ৷
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, "এমনকি, যখন আদালতে মামলা চলছিল, তখন তারা আদালতের রায় বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছিল । কেন ? কারণ, তাদের কাছে এটি একটি রাজনৈতিক অস্ত্র ছিল । তারা বলত রামমন্দির তৈরি হবে, আপনাকে হত্যা করা হবে । একটি ভোট ব্যাংককে খুশি করার উপায় এটা ছিল ৷’’ তাঁর বক্তব্য, রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি ৷ তাই এই ইস্য়ু কংগ্রেসের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে ৷
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় উপস্থিত হতে পারায়, তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন ৷ সেই কারণেই তিনি 11 দিন কৃচ্ছসাধন করেন ৷ ভগবান রামের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন স্থানে যান ৷
রামমন্দির ছাড়া আরও একাধিক ইস্যুতে তিনি সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের ৷ তিনি নাম না করে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির কটাক্ষ করেছেন ৷ রাহুল গান্ধি একেক সময় একেক কথা বলেন ৷ মোদির বক্তব্য, ‘‘আমি শুনলাম যে একজন নেতা বলছেন ‘এক ঝটকায় দারিদ্র দূরীকরণ করব’ ৷ যাঁরা 5-6 দশক দেশের ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা যখন এই কথা বলেন, তখন মানুষ প্রশ্ন করে, এই লোকটি কী বলছে ?’’
এ দিন কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়েও সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তাঁর দাবি, এই ইস্তাহার অনুযায়ী দেশের অর্থনীতি একেবারে শেষ হয়ে যাবে ৷ যাঁরা এবার প্রথমবার ভোট দেবেন, তাঁদের আশা-আকাঙ্খাকে শেষ করে দেবে ৷ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বিরোধীরা যদি শুধু কর দাতাদের সমালোচনা করে, তাহলে দেশ চলবে কিভাবে ?
আরও পড়ুন: