নয়াদিল্লি, 3 মার্চ: টানা তৃতীয়বার সরকারে ফিরে আসার ব্যাপারে বিজেপি যে ঠিক কতটা আত্মবিশ্বাসী তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে দলের নেতাদের কথায় একাধিকবার স্পষ্ট হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজেপি 370টি আসন পেতে পারে বলেও দাবি করেছেন মোদি। সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন আরও একবার দেখা গেল রবিবার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিকশিত ভারত 2O47 নিয়ে বৈঠক করল। তাছাড়া আগামী পাঁচ বছর কীভাবে দেশের উন্নতি হতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হল।
2024 সালের মে মাস নাগাদ নতুন সরকার শপথ নেবে। শপথ নেওয়ার পর প্রথম একশো দিনের মধ্যে কী কী কাজ হবে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র থেকে শুরু করে, শিল্প সংস্থা এবং অন্য কয়েকটি সংগঠনের ভূমিকা এবং সেগুলির বিস্তার নিয়েও কথা হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের উন্নয়নে তরুণ সমাজকে আরও বেশি করে ব্যবহার করার কথাও হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যুবকদের নিয়ে দেশজুড়ে প্রায় 2700টি বৈঠক হয়েছে। তাতে 20 লাখের বেশি যুবক-যুবতী দেশের উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। সামাজিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে শিল্প পরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং জীবনযাপনের মান ভালো করা-সহ নানা বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনা দিয়েছেন তরুণ-তরুণীরা। এই ধরনের উদ্যোগ আরও বাড়ানোর কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার।
লোকসভা নির্বাচনের আগে এদিনই শেষবার বৈঠক করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পরের বৈঠক হবে নতুন সরকার তৈরি হওয়ার পর। মাত্র একদিন আগে শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই 195টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ঠিক কতটা বেশি সেটাই বোঝাতে চায় বিজেপি। প্রার্থী তালিকা থেকে স্পষ্ট নিজেদের পুরনো কেন্দ্র থেকেই লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মতো হেভিওয়েটরা। এছাড়া বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে প্রচার শুরু করেছেন সেটাও যে প্রাক নির্বাচনী প্রস্তুতি তা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। এমনই আবহে আগামী পাঁচ বছরে কীভাবে দেশের উন্নতি হবে তা নিয়ে বৈঠক করে বিরোধীদের উপর চাপ আরও বাড়ানোর রণকৌশল নিল বিজেপি।
আরও পড়ুন: