হালদওয়ানি (উত্তরাখণ্ড), 19 মে: আবারও বিপাকে যোগগুরু রামদেব ৷ তাঁর সংস্থা পতঞ্জলি আয়ুর্বেদিকের একটি খাদ্যদ্রব্য গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি ৷ যার জেরে সংস্থার এক কর্তা-সহ তিনজনকে দোষীসাব্যস্ত করেছে আদালত ৷ পতঞ্জলির প্যাকেটজাত সোন পাপড়ির গুণগতমানের পরীক্ষার ফল নেতিবাচক আসায় সংস্থার কর্তা, ডিস্ট্রিবিউটর এবং এক দোকানদারকে 6 মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ৷
পতঞ্জলি নবরত্ন এলাচ সোন পাপড়ির গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, একটি মামলা করা হয় উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় আদালতে ৷ বিচারকদের নির্দেশে পিথোরাগড় জেলার ফুড সেফটি অফিসার বেরিনাগ মার্কেটের একটি দোকান থেকে পতঞ্জলি সোন পাপড়ির নমুনা হিসেবে কয়েকটি প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করেন ৷ 2019 সালে সেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৷ সম্প্রতি সেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে ৷ তাতে পতঞ্জলি নবরত্ন এলাচ সোন পাপড়ি গুণগত মানের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় ৷
গত শনিবার পিথোরাগড় জেলা আদালতের বিচারক সংস্থার বিরুদ্ধে জরিমানার নির্দেশ দেন ৷ সেই সঙ্গে অভিযুক্ত হিসেবে সংস্থার সহকারী ম্যানেজার এবং ডিস্ট্রিবিউটর অভিষেক কুমার, সংস্থার প্রোডাক্ট ডিস্ট্রিবিউটর অজয় জোশী এবং পতঞ্জলি শপের মালিক লীলাধর পাঠককে 6 মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ তিনজনের বিরুদ্ধে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড আইনের আওতায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল ৷
উল্লেখ্য, করোনার সময় অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেদের আয়ুবের্দিক ওষুধ বিক্রি করেছিল পতঞ্জলি ৷ যেখানে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করোনা নিরাময়ে ব্যর্থ বলে বিজ্ঞাপনে দাবি করেছিলেন স্বয়ং রামদেব ৷ যার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন পতঞ্জলির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে ৷ যে মামলায় রামদেব এবং বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় ৷ সেই মামলায় ইতিমধ্যে রামদেব এবং তাঁর সহকারীকে ভর্ৎসনা করেছে আদালত ৷ এমনকি হলফনামার জবাব সংক্ষেপে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত ৷
আরও পড়ুন: