অযোধ্যা, 16 এপ্রিল: রামনবমী উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি প্রায় শেষ অযোধ্যায় ৷ মন্দির প্রতিষ্ঠার পর এ বছর প্রথম রামনবমী উদযাপন হবে অযোধ্য়ায় ৷ পাশাপাশি বুধবার রামনবমী উপলক্ষ্যে দর্শনাতর্থীদের ব্যাপক ভিড় হবে বলেও মনে করছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৷ একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন ভোর সাড়ে তিনটে মঙ্গলা আরতির মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশেষ পুজো ৷ এরপর রাত 11টা পর্যন্ত অর্থাৎ, 19 ঘন্টা দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এর মধ্যে ভগবানকে চারবার ভোগ নিবেদনের সময় মন্দিরের পর্দা পাঁচ মিনিটের জন্য শুধু বন্ধ হবে। অযোধ্যা প্রশাসন জানুয়ারিতে মন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের পর বছরের পরবর্তী বড় অনুষ্ঠানে তীর্থযাত্রীদের ভিড় নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। অযোধ্যায় প্রথম রামনবমীতে ভক্তদের প্রত্যাশিত বিশাল জনসমাগমের পরিপ্রেক্ষিতেই 19 ঘণ্টা মন্দির খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে ৷
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট 19 এপ্রিলের পরেই রাম লালার দর্শনের জন্য বিশিষ্ট অতিথিদের অযোধ্যায় আসার জন্য বিশেষ আমন্ত্রণের পাশাপাশি আবেদনও করা হয়েছে ৷ তবে ওইদিন রাম মন্দিরে প্রবেশের জন্য বিশিষ্টদেরও অন্য ভক্তদের মতো একই পথে যেতে হবে বলে ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে ৷ রাম নবমীর দিন ব্রাহ্ম মুহুর্ত সাড়ে তিনটেয়ে বিশেষ পুজো শুরু হবে ৷ ভক্তদের দর্শনের জন্য বিশেষ ব্যবস্তাও করা হচ্ছে ৷ ওইদিন রাত 11টা পর্যন্ত ভক্তরা রাম লালার দর্শন করতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে ৷
দর্শনের সময় ভক্তদের তাদের মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র সঙ্গে না রাখতে বলা হয়েছে ৷ সুগ্রীব কুইলায় ট্রাস্টের তরফে তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি পরিষেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রসার ভারতী দূরদর্শনে রাম মন্দিরের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। ট্রাস্টের দাবি, অযোধ্যা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন রাম মন্দিরে রাম নবমী উদযাপনের সরাসরি সম্প্রচারের জন্য অযোধ্যা জুড়ে প্রায় 100টি এলইডি স্ক্রিন রাখছে ৷
রাম নবমীর দিন ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা প্রশাসনের তরফে বিশেষ বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে খবর ৷ অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি নাশকতা এবং অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে বিশেষ নাকা চেকিংয়েরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ যে সমস্ত তীর্থযাত্রীরা উৎসবের তিন দিন আগে অযোধ্যায় এসেছেন এবং উৎসবের পরে দু-তিন দিন থাকবেন তাদের থাকার জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, গরম আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে মন্দিরের মেঝেতে জল এবং মাদুর রাখা হচ্ছে ৷
সরযূ নদীতে স্নানের ক্ষেত্রেও নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন ৷ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে দুই হাজার কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। রাম মন্দির ট্রাস্টের ট্রাস্টি অনিল মিশ্রের মতে, ভক্তদের সহজ দর্শন নিশ্চিত করতে এবং তারা যাতে কোনও ঝামেলার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকেই একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ইতিমধ্যেই সব ব্যবস্থা তদারকি করছেন ৷ রাম নবমীর দিন দুপুরে যখন ভগবান রাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেই সময় একটি বিশেষ পুজো-প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: