বালাসোর, 16 এপ্রিল: এটা রূপকথার গল্প নয়, বাস্তবতা ৷ ভারী খাবার ছাড়া কেবল জল পান করে বেঁচে রয়েছেন একজন 47 বছর বয়সি মহিলা ৷ জানলে অবাক হবেন এই মহিলা 35 বছর ধরে এভাবেই বেঁচে রয়েছেন ৷
ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানাগা ব্লকের আশিমিলা গ্রামের বছর 47-এর ওই মহিলার নাম শান্তিলতা জেনা ৷ গত 35 বছর ধরে খাবার না খেয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন তিনি ।
12 বছর বয়স থেকেই ভারী খাবার খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন । শুধু জল খেয়ে বেঁচে রয়েছেন তিনি । চা বা জুস পান করলে বমি হয় তাঁর । যাইহোক, তিনি অনেক বছর ধরে সুস্থ জীবনযাপন করছেন ৷
শান্তিলতার বয়স যখন মাত্র 12 বছর, তখন তাঁর মা তাকে যাই খাওয়াতেন বমি হত । মেয়ের অবস্থা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন অভিভাবকরা । শান্তিলতাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে ৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, ভারী খাবার নয় ৷ তাঁর শরীরের জন্য উপযোগী তরল খাবার । সেদিনের পর থেকে শান্তিলতা কোনও ভারী খাবার খাননি । এমনকি জুস, চা বা বিস্কুট খেলেও সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বমি হয়ে যায় ৷
শৈশবে ডাক্তারের কাছ থেকে ফিরে শান্তিলতা বাড়িতে থাকা শনিদেবের পুজো করা শুরু করেন ৷ সেই দিন থেকেই খাওয়া বন্ধ করে দেন ।
সত্যিই কি এভাবে কেউ বেঁচে থাকতে পারে ? বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য ইটিভি ভারত আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ শান্তনু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ ঘটনাটি বিশ্লেষণ করার পরে ডাক্তার বলেন, "একজন মানুষ শুধুমাত্র জল পান করে বেঁচে থাকতে পারে ৷ তবে তা কেবল কয়েকদিনের জন্য ৷ এত বছর ধরে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয় । চা, জুস বা কিছু খাবার খেয়ে বমি করলেও তার শরীরে কিছু অংশ থেকে যায় । চায়ের দুধ, চিনি থেকে পুষ্টি এবং ফলের রস তাঁর শরীরে পাওয়া গিয়েছে । যা একজন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে । ফলে তিনি সুস্থ জীবনযাপন করলেও তার প্রয়োজনীয় শারীরিক বৃদ্ধি হয়নি ।"
চিকিৎসকরা বৈজ্ঞানিক কারণ দেখালেও শান্তিলতা ও তাঁর পরিবার অবশ্য মনে করেন শনিদেবের আশীর্বাদেই বেঁচে রয়েছেন তাঁদের মেয়ে ৷
আরও পড়ুন :